নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) ২ নম্বর ওয়ার্ডের একটি ভাড়া বাসা থেকে দুই সন্তানকে ফেলে রেখে পুলিশ কনস্টেবলের সঙ্গে পালিয়েছেন এক প্রবাসীর স্ত্রী। পরকীয়া প্রেমের এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগী প্রবাসী সাইফুল ইসলাম (৩২) দুই বছর আগে পরিবারের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ইতালিতে পাড়ি জমান। স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার (২৫) এবং দুই শিশুসন্তানকে (৭ ও ৪ বছর বয়সি) রেখে যান তিনি। তবে প্রবাসে থাকার সময়েই স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পল্টন থানায় কর্মরত কনস্টেবল আরাফাত আদর (৩০)-এর।
গত ৯ মে (২০২৫) সকালে সুমাইয়া তার দুই সন্তান ও সংসার ফেলে কনস্টেবল আরাফাত আদরের সঙ্গে পালিয়ে যান। এ সময় তিনি ঘরের মূল্যবান স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থ নিয়ে গেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন প্রবাসী সাইফুল।
সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি প্রবাসে যাওয়ার এক বছর পর থেকে আমার স্ত্রীর আচরণে পরিবর্তন লক্ষ্য করি। পরে জানতে পারি তিনি পল্টন থানার এক পুলিশ কনস্টেবলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। সেই সম্পর্কের জেরে সে আমার দুই সন্তানকে ফেলে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যায়। এখন শুনছি তারা ঢাকার সবুজবাগ থানার মাদারটেক এলাকায় একসঙ্গে বসবাস করছে।
মায়ের হঠাৎ চলে যাওয়ায় সাইফুলের দুই শিশুসন্তান মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। বর্তমানে তাদের দেখভাল করছেন প্রবাসীর বোন।
এ ঘটনায় সাইফুলের বোন জামাই মো. জানে আলম বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এতে সুমাইয়া ও তার প্রেমিক কনস্টেবল আরাফাত ছাড়াও সুমাইয়ার বাবা হানিফ মিয়া (৫০), মা নাজমা বেগম (৪১) ও বোন হেনা আক্তারকে (২০) অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পল্টন থানার ওসি কাজী মুহাম্মদ নাসির উল আমিন বলেন, ঘটনার বিষয়ে এখনো কিছু জানি না। খোঁজ নিতে হবে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহিনূর আলম বলেন, আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তি পুলিশ সদস্য কি না তা যাচাই করছি। ডিএমপির একজন পুলিশ আমাদের জানিয়েছে, ওই নারী তার স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েছেন।
চেষ্টা করেও অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য আরাফাত আদরের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে তার স্ত্রী ইমা গণমাধ্যমকে জানান, আমার স্বামী ওই মেয়ের সঙ্গে পালিয়ে যায়নি। মেয়েটিই চলে এসেছে। সে (আরাফাত) বর্তমানে আমার সঙ্গেই আছে এবং অসুস্থ।
আপনার মতামত লিখুন :