৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত কলেজছাত্র হৃদয়কে গুলি করে হত্যার ঘটনায় নিহত ওই কলেজ ছাত্রের মরদেহ উদ্ধারের জন্য গাজীপুর মহানগরীর কড্ডা ব্রিজ এলাকায় তুরাগ নদীতে অভিযান শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। এতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকাল ১০টায় তারা উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত পানির নিচে তল্লাশি চালিয়ে মরদেহের সন্ধান না পেয়ে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করে ফায়ার সার্ভিস।
নিহত কলেজছাত্র হৃদয় (২০) টাঙ্গাইলের গোপালপুরের আলমনগর গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে। তিনি হেমনগর ডিগ্রি কলেজে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি তিনি কোনাবাড়ী এলাকায় অটোরিকশা চালাতেন।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মামুন জানান, ট্রাইবুনালের নির্দেশে সকাল ১০টায় উদ্ধার অভিযান শুরু করে। নদীতে প্রচুর স্রোত থাকায় মরদেহের সন্ধান না মেলায় সমাপ্ত করা হয়।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট হৃদয় কোনাবাড়ী সড়কে সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছিলেন। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি দেখে হৃদয় রাস্তার পাশে অবস্থান নেন। সেখানে দায়িত্ব পালন করছিলেন শিল্প পুলিশের কিছু সদস্য। তারা হৃদয়কে রাস্তার পাশ থেকে ধরে নিয়ে চড়থাপ্পড় মারেন। একপর্যায়ে পুলিশ গুলি করলে সেখানেই তিনি মারা যান।
এই ঘটনায় হৃদয়ের ফুফাতো ভাই মো. ইব্রাহীম বাদী হয়ে কোনোবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে হুকুমের আসামি এবং অজ্ঞাত ২৫০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :