রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ২৪, ২০২৫, ০৯:০৭ পিএম

মৃত মুক্তিযোদ্ধাকে সভাপতি বানিয়ে প্রকল্পের টাকা লুট করতেন সাবেক এমপি

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ২৪, ২০২৫, ০৯:০৭ পিএম

সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন। ছবি- সংগৃহীত

সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন। ছবি- সংগৃহীত

মৃত মুক্তিযোদ্ধাকে সভাপতি বানিয়ে প্রকল্পের টাকাসহ অনেক ভুয়া প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ মামলায় তুহিন ছাড়াও আরও ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের নয় বছর পর মঙ্গলবার (২২ জুলাই) ময়মনসিংহের নান্দাইলে জেলা সমন্বিত দুদুক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বুলু মিয়া বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

এর আগে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন প্রকল্প কার্যক্রম তদন্ত করে অনিয়মের সত্যতা পেয়ে ২০১৭ সালে মামলা করার অনুমতি চেয়ে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আবেদন করে জেলা কার্যালয়। অজ্ঞাত কারণে এতদিন এ মামলা করা হয়নি।

মামলার আসামিরা হলেন সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন, সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক চৌধুরী স্বপন, সাবেক উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এবিএম সিরাজুল হকসহ ১১ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।

মামলার বিবরণে জানা যায়, প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে ১৩২টি ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে ৩৬৪ মেট্রিক টন জিআর চাল, যার আর্থিক মূল্য ১ কোটি ২০ লাখ ৭৪ হাজার ৯৭২ টাকা। ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে ২২৮টি ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে ৪৭১ মেট্রিক টন জিআর চাল, যার আর্থিক মূল্য ১ কোটি ৬৭ লাখ ১১ হাজার ৫৫১ টাকা আসামিরা লুট করেছেন। এর মধ্যে ৩৭৮টি প্রকল্পের বিপরীতে প্রত্যেক প্রকল্পের সভাপতি ওয়াজ মাহফিল ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের অনুকূলে অনুষ্ঠানভেদে ৩/২/১ মেট্রিক টন হারে চাল উত্তোলনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেন।

আবেদনপত্রগুলোতে সাবেক এমপি তুহিন, উপজেলা চেয়ারম্যান এবং সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা শনাক্তকারী হিসেবে স্বাক্ষর করেন। প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট প্রকল্প কমিটি একটি ব্যবহারিক প্রতিবেদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর দাখিল করেন। প্রকল্পগুলো অনুমোদনে পিআইও অফিসের সমন্বয় রেজিস্ট্রার ব্যবস্থাপনায় বিধি মোতাবেক ইউএনওর কাছে উপস্থাপন করা হয়। তৎকালীন ইউএনও শাহ নূর আলম তা অনুমোদন করেন এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এবিএম সিরাজুল হক প্রকল্প বাস্তবায়নকারী হিসেবে উল্লিখিত রেজিস্ট্রারে স্বাক্ষর করেন।

অভিযোগ অনুসন্ধানকালে ৩৭৮টি প্রকল্প সভাপতির মধ্যে ১২০ জনের বক্তব্য গ্রহণ করা হয়। প্রত্যেকে জানান, তারা কোনো ওয়াজ মাহফিল বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের অনুকূলে অনুষ্ঠানভেদে ৩/২/১ মেট্রিক টন হারে চাল উত্তোলনের জন্য ইউএনও বরাবর আবেদন করেননি। আবেদনপত্রে তাদের ছবি সংযোজনের বিষয়েও তারা অবগত নন। এতে প্রমাণিত হয় বর্ণিত আবেদনগুলো ভুয়া এবং তা জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে করা হয়েছে।

মামলার বাদী বুলু মিয়া বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে একাধিকবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এ সময় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে সত্যতা পাওয়ার পর মামলার জন্য প্রধান কার্যালয়ে ২০১৭ সালে আবেদন করা হয়। ২০ জুলাই মামলা করতে প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনা এলে মঙ্গলবার মামলা করা হয়।

তিনি বলেন, এখন মামলাটি আরও অধিকতর তদন্ত করা হবে। এখানে যদি আর কারও দায় থাকে তাহলে তাদেরও মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

Shera Lather
Link copied!