চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) দায়িত্ব বাংলাদেশ ড্রাইডক লিমিটেডকে দেওয়ার পর কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে ৩০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, ‘এটি বড় ধরনের অগ্রগতি। আশা করি, এই ধারা অব্যাহত থাকবে।’
শুক্রবার (২৫ জুলাই) চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন। পরিদর্শনের সময় আন্তর্জাতিক মানের একটি নতুন কেমিক্যাল শেড উদ্বোধন করেন উপদেষ্টা।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘অনেকে না জেনে প্রোপাগান্ডা ছড়ায়। আমি আশা করব, দেশের স্বার্থে কেউ যেন এ ধরনের অপপ্রচার না করে।’
এনসিটি পরিচালনা নিয়ে চলমান আলোচনা প্রসঙ্গে ড. সাখাওয়াত বলেন, ‘গত ১৭-১৮ বছর যারা এনসিটি পরিচালনায় ছিলেন তারা খারাপ কিছু করেননি। তবে আন্তর্জাতিক মানে আরও দক্ষতা আনার জন্য আমরা আন্তর্জাতিক পর্যায়ের অপারেটর নিয়োগে আগ্রহী। কারণ দক্ষতা বাড়াতে হলে আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতা প্রয়োজন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের অনেক বড় বন্দর—যেমন, সিঙ্গাপুর, সেখানে বেশিরভাগ টার্মিনাল প্রাইভেট অপারেটরে চলছে। আমাদেরও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সেই ধরনের কাঠামো প্রয়োজন। এখানে পরিচালনার দায়িত্ব সরকারেরই থাকবে, কেবল অপারেশনাল অংশে আন্তর্জাতিক মানের দক্ষ প্রতিষ্ঠান যুক্ত হবে।’
আমদানি-রপ্তানিতে গড়ে ৩০ শতাংশ ট্যারিফ বৃদ্ধির প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরের ট্যারিফ ১৯৮৬ সালের পর আর বাড়ানো হয়নি। এবার আমরা যৌক্তিকভাবে তা সংশোধন করেছি।
শুধু মন্ত্রণালয় এককভাবে সিদ্ধান্ত নেয়নি, আন্তঃমন্ত্রণালয় ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশ্বের প্রধান বন্দরের ট্যারিফ বিবেচনায় এখনো আমাদের হার কম, এমনকি মোংলা বন্দর থেকেও কম।’
আপনার মতামত লিখুন :