জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর জাতীয় সরকার হলে ৭ দিনও টিকত না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সম্প্রতি দেশের প্রথমসারির একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমাদের যে অভিজ্ঞতা; যে সময়ে মুহূর্তে মুহূর্তে সমস্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে, সেই সময়ে যদি আমরা একটা ন্যাশনাল গভর্নমেন্ট করি, আমি এখনো বলছি, আমরা ওই গভর্নমেন্টকে সাত দিনও টেকাতে পারতাম না। প্রত্যেকে একেক মন নিয়ে থাকত, ন্যাশনাল গভর্নমেন্ট টিকত না।’
মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় সরকার করার এবং সেখানে বিএনপিকে থাকার প্রস্তাব দিয়েছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। বিএনপি এই প্রস্তাবে রাজি হলো না কেন?- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘(বৈষম্যবিরোধী) ছাত্রদের নেতাদের সঙ্গে ওই ৫ আগস্টের পর, জাস্ট ওই দিনই বা তার পরের দিন আমাদের কোনো দেখাই হয়নি। আমাদের কাছে এই প্রস্তাব আসেইনি। এই প্রস্তাবটা ছাত্রদের কাছ থেকে আসেনি, অন্য মহল থেকে আসতে পারে। কিন্তু ছাত্রদের কাছ থেকে এই প্রস্তাব আসেনি জাতীয় সরকার তৈরি করার।’
বিএনপির দলীয় কাজ ভাগ করে করা হয় উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘আর বিএনপি একটি বিশাল দল। আমাদের দলের মধ্যে কাজ ভাগ করে হয়। যেমন ধরুন, সংস্কারের ব্যাপারে আপনারা আমাকে দেখছেন না। সংস্কারের বিষয়ে প্রথম যে মিটিংটা হয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের, সেখানে কিন্তু আমি গেছি। এরপর আমাদের সংস্কার কমিশন অনুযায়ী যে কমিটিগুলো করে দেওয়া হয়েছে, সেখানে আমার অনুপস্থিতি আপনারা দেখছেন। আমাদের পার্টি থেকেই আমরা এ কমিটিগুলো করে দিয়েছি। দলের স্থায়ী কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী তাঁরা কথা বলছেন, কাজ করছেন।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান থেকে বিএনপি কী শিখল?-এ প্রশ্নে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপির জন্য তো এই শিক্ষা পুরোনো। এই অঞ্চলের মানুষ শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রাম করে আসছে সেই মোগল-ব্রিটিশ আমল থেকে। আর বিগত ১৫-১৬ বছর ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে তো আমরাই আন্দোলন করেছি।’
তিনি বলেন, ‘এখানে একটা কথা বলি, যেটা আমি বারবার বলেছি, জনসভায় বলেছি যে তরুণেরা এগিয়ে না এলে এই আন্দোলন সফল হবে না। আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে। এরপর কোটা আন্দোলন যখন শুরু হলো, এই আন্দোলনে ছাত্ররা যখন এগিয়ে এল, অনেকে বলেন যে আপনারা তখন যুক্ত হননি কেন। কোটা আন্দোলনের সঙ্গে আমরা যুক্ত হইনি সংগত কারণে। এই কারণে যে ছাত্ররা বলবে আপনারা কেন আমাদের সঙ্গে। অতীতে এ রকম কথা হয়েছে। ফলে আমরা তাদের সমর্থন দিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ছাত্রদলকে নির্দেশ দেওয়া ছিল, তারা যেন আন্দোলনে অংশ নেয়। করেছেও তা-ই, বেগবান হয়েছেও তাই। সেই সময় ছাত্রনেতাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হয়েছে, আমাদের চেয়ারম্যানেরও (তারেক রহমান) হয়েছে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘পরবর্তী সময়ে এটা যখন সরকারবিরোধী আন্দোলনে মোড় নিল, তখন সার্বক্ষণিকভাবে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। আমাদের টপ লিডারদের সব জেলে গেছেন। তখন একমাত্র আমি আর আব্বাস ভাই (মির্জা আব্বাস) বাইরে ছিলাম। আমি প্রতিদিন গুলশান অফিসে প্রেস কনফারেন্স করেছি এবং বলেছি আমাদের থাকা (এই আন্দোলনে) উচিত। প্রতিদিন আমাদের নেতারা যাঁরা আছেন, তাঁরা আন্দোলন করেছেন। আন্দোলন তো আমরা করেছি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে।’

 
                             
                                    


 সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন 
                                     
                                     
                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                    -20251031183405.webp) 
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                             
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
       
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন