তথ্য কমিশন গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। শিগগিরই এ কমিশন গঠন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
শনিবার (২৬ জুলাই) সরকারি এক তথ্যবিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ অনুযায়ী একজন প্রধান তথ্য কমিশনার এবং দুজন তথ্য কমিশনার নিয়ে এ কমিশন গঠিত হবে।
দুজন তথ্য কমিশনারের মধ্যে ন্যূনতম একজন হবেন নারী।
এর আগে, তথ্য কমিশন কেন গঠন হচ্ছে না, প্রশ্ন উঠেছিল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা শিগগিরই এই কমিশন গঠন করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন।
চলতি বছরের ৭ মার্চ ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘বিদ্যমান আইনের অধীনে এখনো তথ্য কমিশন গঠন না হওয়ার বিষয়ে সরকারকে জবাবদিহি করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এটি অত্যন্ত বিব্রতকর একটি বিষয়। তথ্য কমিশন না থাকায় দেশের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার প্রশ্নে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। বর্তমান সরকারের দায়িত্ব কমিশন পুনর্গঠন করা এবং কেন তা এখনো হয়নি, সে বিষয়ে তাদের জবাব দিতে হবে। ২০০৯ সালের মার্চে তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন করা হয় এবং ওই বছরের জুলাইয়ে সাবেক সচিব এম আজিজুর রহমানকে প্রধান তথ্য কমিশনার করে তিন সদস্যের তথ্য কমিশন গঠন করা হয়।’
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতার পালাবদলের পর গত ১০ সেপ্টেম্বর ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান তথ্য কমিশনার আবদুল মালেক এবং তথ্য কমিশনার শহীদুল আলমকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এরপর থেকে তথ্য কমিশন শূন্য রয়েছে।’
স্বচ্ছ ও দক্ষ নিয়োগের দাবি জানিয়ে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘তথ্য কমিশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে এমন ব্যক্তিদের নিয়োগ দিতে হবে যারা পেশাগত জীবনে তথ্য গোপনের সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। রাজনৈতিক দলসহ নিবন্ধিত ও লাইসেন্সপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোকে তথ্য অধিকার আইনের আওতায় আনার প্রস্তাব করছি।’
আপনার মতামত লিখুন :