ফেনীর পরশুরাম সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত হওয়া যুবকের মরদেহ ২১ ঘণ্টা পর তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শুক্রবার (জুলাই) বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে ১০টায় বিলোনিয়া স্থলবন্দর চেকপোস্টে বিজিবি ও পুলিশের উপস্থিতিতে তার মরদেহটি ফেরত দেওয়া হয়।
পরশুরাম মডেল থানা পুলিশের ওসি মোহাম্মদ নুরুল হাকিম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে পরশুরাম উপজেলার গুথুমা নামক স্থানে বিএসএফের আওতাধীন ২১৬৪/৩এস পিলার এলাকায় ইয়াছিন লিটন তার দুই সঙ্গী মিল্লাত ও আফছারের সঙ্গে ভারতীয় সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে যান। সেখানে বিএসএফের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
এ সময় ইয়াছিনের গায়ে গুলি লাগলে ইয়াছিনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বিএসএফ সদস্যরা ভারতের বিলোনিয়ার একটি হাসপাতালে নিয়ে যান, যেখানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এদিকে ফিরে আসা আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান এবং পরে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে মিল্লাতের মৃত্যু হয়। আফছার বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নিহত ও আহতদের পরিচয়- নিহত মো. ইয়াছিন লিটন (৪০) পরশুরাম পৌর এলাকার বাসপদুয়া গ্রামের মনির আহমদের ছেলে। নিহত জাকির হোসেন মিল্লাত (২০) একই এলাকার ইউসুফ মিয়ার ছেলে।
আহত মো. আফছার (৩০) এয়ার আহম্মদের ছেলে বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি।
ফেনীর ৪ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোশারফ হোসেন, ‘বিএসএফ ৪৩ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক এএস বীরেন্দ্র সিং, পরশুরাম থানার ওসি মোহাম্মদ নুরুল হাকিম এবং ভারতের বিলোনিয়া থানার কর্মকর্তা শিবু রঞ্জন দেসসহ অন্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা মরদেহ হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন।’
এ ঘটনায় পরশুরাম থানার ওসি আরও জানান, ‘মৃরদেহ হস্তান্তরের পর তা ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।’
আপনার মতামত লিখুন :