বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মাসুম বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান ড. ইউনুস জুলাই মাসে যে ঘোষণাপত্র দিয়েছেন, সেটি আরও সংশোধন করা জরুরি। গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয় বাদ পড়েছে, যা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
শনিবার (৯ আগস্ট) চাঁদপুর শহরের আল-আমিন একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজের শহীদ আব্দুল মালেক মিলনায়তনে জেলা জামায়াতের অগ্রসর কর্মীদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে এবং প্রশাসনকে ঢেলে সাজাতে হবে। প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের পর জনগণের মধ্যে যে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে, তা দূর করতে হবে। এসব বিষয়ে আমরা শুরু থেকেই দাবি জানিয়ে আসছি। দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়িত হলে জনগণের মধ্যে আস্থা ফিরবে।’
জোট রাজনীতি বিষয়ে এ টি এম মাসুম বলেন, ‘জামায়াত ইতোমধ্যে এককভাবে প্রার্থী ঘোষণা করেছে এবং ইসলামী দলগুলোর সঙ্গে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করার জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর এ বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্থানীয় নির্বাচন আগে করার দাবি তারা আগে থেকেই জানিয়ে আসছেন। জনপ্রতিনিধি না থাকায় জনগণ ভোগান্তিতে রয়েছে। স্থানীয় নির্বাচন আগে হলে জনগণের উপকার হবে এবং নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতাও যাচাই করা সম্ভব হবে।’
নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনে পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতি চালু করা হলে একটি প্রাণবন্ত সংসদ গঠন সম্ভব। গত ১৫ বছর দেশে একদলীয় স্বৈরাচারী সংসদ ছিল, যেখানে সব দলের উপস্থিতি ছিল না। পিআর পদ্ধতি সংসদে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবে।’
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লা জেলা উত্তর জামায়াতের আমির অধ্যাপক মো. আবদুল মতিন। সভাপতিত্ব করেন চাঁদপুর জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মো. বিল্লাল হোসেন মিয়াজি। বক্তব্য দেন জেলা সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান মিয়া এবং নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট মাসুদুল ইসলাম বুলবুল।
‘মানবতার সেবা ও দেশ পরিচালনার যোগ্যতা অর্জনের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন’ শীর্ষক প্রশিক্ষণে জেলার আট উপজেলার তিন শতাধিক অগ্রসর কর্মী অংশগ্রহণ করেন।
আপনার মতামত লিখুন :