ঢাকা রবিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৫

সাংবাদিক তুহিন হত্যা মামলার আসামির প্রিজনভ্যানে ধূমপান

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ১০, ২০২৫, ০১:৪৯ পিএম
সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন (ইনসেটে), প্রধান আসামি কেটু মিজানের প্রিজনভ্যানে ধূমপানের দৃশ্য। ছবি- সংগৃহীত

গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি মিজান ওরফে কেটু মিজান প্রিজনভ্যানের ভেতরে থাকা অবস্থায় ধূমপান করছিলেন। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে চলছে সমালোচনা।

শনিবার (০৯ আগস্ট) বিকেলে গাজীপুর আদালত থেকে কারাগারে নেওয়ার পথে দেখা যায় কেটু মিজান প্রিজনভ্যানের গেটে দাঁড়িয়ে ধূমপান করছেন। তার পাশেই আরেক আসামি তাকিয়ে রয়েছেন।

পুলিশ জানায়, তুহিন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সাত আসামিকে শনিবার বিকেলে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপির) কার্যালয় থেকে গাজীপুরের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলমগীর আল মামুনের আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়।

শুনানি শেষে প্রত্যেকের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক। সেখান থেকে প্রিজনভ্যানে করে কারাগারে নেওয়ার পথে কেটু মিজান ধূমপান করছিলেন। 

কেটু মিজান ছাড়াও এই মামলার বাকি ছয় আসামি হলেন- কেটু মিজানের স্ত্রী পারুল আক্তার ওরফে গোলাপি, আল আমিন, স্বাধীন, মো. শাহজালাল, মো. ফয়সাল হাসান, সুমন ওরফে সাব্বির। 

স্থানীয় সংবাদকর্মী রেজাউল করিম পুলিশের প্রিজনভ্যানে কেটু মিজানের হাতে সিগারেটের ছবি তার ফেসবুকে পোস্ট করে লিখেছেন, ‘পুলিশের প্রিজনভ্যানের মধ্যে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রধান আসামি কেটু মিজান নেশাদ্রব্য পাইল কীভাবে? 

নিলয় আহমেদ নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘প্রিজনভ্যানের মধ্যেও রাজকীয় হালে আছে। মনে হচ্ছে এসব খুন ২-১টা তার কাছে কিছুই না।’

এ ব্যাপারে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপির) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এ রকম একটা ছবি আমার চোখেও পড়েছে। তবে আমাদের কার্যালয় থেকে বা আদালত থেকে ফেরার পথে হতে পারে। মনে হয় না আমাদের এখান থেকে নেওয়ার পথে ঘটেছে। আদালত থেকে ফেরার পথে মনে হচ্ছে। কেউ হয়তো সিগারেট দিয়েছে আদালতের চত্বরে। এটা তদন্ত করা প্রয়োজন। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখব।’

গত বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় প্রকাশ্যে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে সাংবাদিক আসাদুজ্জামানের বড় ভাই সেলিম বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়।