পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ব্যাংককর্মী তানিয়া হককে কফির সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইফফাত মুকাররমা সানিমুনের বিরুদ্ধে। এক মাস আগে থানায় মামলা করলেও এখন পর্যন্ত স্বর্ণালংকার উদ্ধার বা অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে ভাঙ্গুড়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তানিয়া হক এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, তিনি চাটমোহর সোনালী ব্যাংকের কর্মচারী এবং ভাঙ্গুড়া পৌরসভার শরৎনগর বাজার এলাকার বাসিন্দা। তার বান্ধবী ইফফাত মুকাররমা ভাঙ্গুড়া উপজেলার আরাজী পারভাঙ্গুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও সরদারপাড়া মহল্লার বাসিন্দা।
ছয় মাস ধরে ছেলের চিকিৎসার জন্য ঢাকায় অবস্থান করছিলেন তানিয়া। ৪ জুলাই ইফফাত তানিয়ার বাসায় উঠেন। পরদিন রাতে একসঙ্গে রেস্টুরেন্টে খাবার খেয়ে ফেরার পর ইফফাত নিজে হাতে কফি বানিয়ে তানিয়াকে পান করান। পরে জানা যায়, কফিতে ঘুমের ওষুধ মিশানো ছিল।
কিছুক্ষণ পর তানিয়া অচেতন হয়ে পড়েন। পরদিন সকালে ইফফাতকে ফোন করলে তিনি জানান, জরুরি কাজে ঢাকায় গেছেন। পরে দেখা যায়, তানিয়ার হাতব্যাগে রাখা ১২ হাজার টাকা এবং আলমারিতে থাকা ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার নিখোঁজ।
তানিয়া বলেন, এই ঘটনায় ভাঙ্গুড়া থানায় মামলা করা হয়েছে, কিন্তু এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি এবং মালামাল উদ্ধার হয়নি।
এ ছাড়া ইফফাতের বিরুদ্ধে তার বাবার কাছ থেকে প্রায় ৪০ লাখ টাকা পেনশন আত্মসাতের অভিযোগও রয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে ইফফাতের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ভাঙ্গুড়া থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :