পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার বিবি দাখিল মাদ্রাসায় ঝুঁকিপূর্ণ টিনের ঘরে চলছে পাঠদান। নড়বড়ে এই ঘরটি যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়ার আশঙ্কা থাকলেও, দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করতে হচ্ছে।
গ্রীষ্মের খরতাপে কষ্ট পায় শিক্ষার্থীরা, আর বর্ষায় ছিদ্র দিয়ে পানি পড়ে ভিজে যায় বই-খাতা। টিনের ছাউনির অনেক অংশে ছিদ্র ও ভাঁজ তৈরি হয়েছে। বাতাসে দুলে ওঠে পুরো ঘর। এতে পাঠদানের পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে, আর শিক্ষার মানেও পড়ছে নেতিবাচক প্রভাব।
জানা যায়, ফরিদপুর উপজেলার বৃলাহিড়ীবাড়ী ও ভাঙ্গুড়া উপজেলার বেতুয়ান গ্রামের বাসিন্দাদের উদ্যোগে ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বিবি দাখিল মাদ্রাসা। এটি ১৯৯৪ সালে এমপিওভুক্ত হয় এবং ১৯৯৬ সালে নির্মিত হয় একটি তিন কক্ষবিশিষ্ট ভবন। তবে শ্রেণিকক্ষের সংকট নিরসনে এলাকাবাসীর সহায়তায় পরবর্তীতে নির্মাণ করা হয় আরও দুটি টিনসেড ঘর। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৩০০ জন।
মাদ্রাসাটিতে ১৭ জন শিক্ষক এবং ৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত। শিক্ষার্থীর সংখ্যা ও শিক্ষার মান বাড়লেও, কাঙ্ক্ষিত অবকাঠামো গড়ে ওঠেনি। বিশেষ করে পুরোনো টিনের ঘরটি এখন সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, গরমের দিনে ক্লাসে বসে থাকা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। আবার রোদ ও বৃষ্টির সময় টিনের ছিদ্র দিয়ে পানি ও আলো ঢুকে পড়ে, এতে বই-খাতা নষ্ট হয়ে যায়। কেউ কেউ বলেন, সামান্য ঝড়-হাওয়াতেও ঘরটি কেঁপে ওঠে, তখন ক্লাসে ভয়ও লাগে।
এ ছাড়া মাদ্রাসার কোনো সীমানা প্রাচীর না থাকায় এর মাঠটি বর্তমানে গো-চারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার সুপার মো. শামসুল আলম বলেন, ‘টিনের ঘরটি এখন একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। শিশুরা ভয় পায় ক্লাস করতে। দ্রুত ঘরটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা প্রয়োজন।’
ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোছা. নাজমুন নাহার রুপালি বলেন, ‘বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। মাদ্রাসাটির জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন