বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার অপূর্ব কুণ্ডু নামের এক চা দোকানির এক মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৩ লাখ ১ হাজার ৭৪৬ টাকা। বিল হাতে পাওয়ার পর দিশাহারা হয়ে পড়েন তিনি। শুধু কুণ্ডুই নন, আরও অনেক গ্রাহকের নামে এমন ভূতুড়ে বিল এসেছে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি ভুলবশত হয়েছে এবং বিলটি ঠিক করে দেওয়া হবে।
জানা গেছে, ফকিরহাট উপজেলার লখপুর বাজারে এক কক্ষের ছোট চায়ের দোকান চালান অপূর্ব কুণ্ডু। বাবা অশোক কুমার কুণ্ডুর মৃত্যুর পর দোকানটি এখন পরিচালনা করেন অপূর্ব ও তার মা তপতী রানী কুণ্ডু। দোকানে রয়েছে দুটি বাল্ব, একটি ফ্যান ও একটি ফ্রিজ। সামান্য আয়ের এই দোকানের চলতি মাসে বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৩ লাখ ১ হাজার ৭৪৬ টাকা। এত বড় অঙ্কের বিল পেয়ে হতবাক হয়ে পড়েন অপূর্ব ও তার মা।
শুধু কুণ্ডুই নন, লখপুর এলাকার আরও অনেক গ্রাহকের নামেও এসেছে অস্বাভাবিক পরিমাণ বিল। এক মাসের সঙ্গে অন্য মাসের বিলের কোনো মিল নেই। মিটার না দেখে বিল করা এবং পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দায়িত্বহীনতার কারণে এমন ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
চা দোকানি অপূর্ব কুণ্ডু বলেন, ‘সাধারণত মাসে ২৫০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে বিল আসে। গত মাসেও অতিরিক্ত বিল এসেছিল ১ হাজার ৮৭৬ টাকা। ফকিরহাট জোনাল অফিসে গেলে সেটা সংশোধন করে ৩১৬ টাকা করা হয়। কিন্তু এবার যখন বিল হাতে পেলাম, দেখি ৩ লাখ ১ হাজার ৭৪৬ টাকা! আমরা পুরো পরিবারই হতবাক হয়ে যাই। পরে বৃহস্পতিবার রাতে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন এসে বিলটি নিয়ে যান। বারবার এমন ভুলের কারণে আমরা চরম ভোগান্তিতে পড়ছি। ভবিষ্যতে যেন এমন না হয়, সে জন্য আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
এ বিষয়ে ফকিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) আনন্দ কুমার কুণ্ডু বলেন, ‘বিলিং সহকারীর ভুলের কারণে এমনটি হয়েছে। বিলটি সংশোধন করে ৩১০ টাকার একটি সঠিক বিল গ্রাহককে দেওয়া হয়েছে।’
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে বাগেরহাট সদর উপজেলার বৈটপুর গ্রামের চা দোকানি তাইজুল ইসলামের নামে ১৩ লাখ ৮৭ হাজার ১৯৭ টাকার বিদ্যুৎ বিল করা হয়েছিল। অথচ তার প্রকৃত বিল ছিল মাত্র ১৬২ টাকা।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন