সোমবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ

প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০২৫, ০৭:৩৬ পিএম

শত কোটির সম্পত্তি সাড়ে ৫ লাখে বিক্রি, তদন্তে দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ

প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০২৫, ০৭:৩৬ পিএম

ময়মনসিংহ নগরীর পাটগুদামের শত কোটি টাকার সরকারি জমি সাড়ে ৫ লাখ টাকায় বিক্রি। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ময়মনসিংহ নগরীর পাটগুদামের শত কোটি টাকার সরকারি জমি সাড়ে ৫ লাখ টাকায় বিক্রি। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ময়মনসিংহ নগরীর পাটগুদামের শত কোটি টাকার সরকারি জমি সাড়ে ৫ লাখ টাকায় বিক্রির ঘটনায় তদন্তে নেমেছে দুনীর্তি দমন কমিশন (দুদক)। 

গত ৬ জুন ৮৪ শতাংশ জমি আদালতের নির্দেশে দলিল করে দেন সদর সাবরেজিস্ট্রার মিরাশ উদ্দিনকে। গত সপ্তাহখানেক আগে বিষয়টি জানাজানি হলে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। ঘটনা তদন্তে রোববার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযান পরিচালনা করেন দুদক।


 
নগরীর র‍্যালির মোড় শাহজাহান সেন্টারের পাশে টাউন মৌজায় ৮৪ শতাংশ জমির মালিকানায় ছিলেন রেবতী মোহন দাস। ১৯৬৩ সালে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আদমজী জুট মিলস লিমিটেডের নামে হস্তান্তর করা হয়। পরবর্তী সময়ে, জুট মিলটি বন্ধ হয়ে গেলে জমিটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে এবং বিআরএস জরিপে এটি সরকারি সম্পত্তি হিসেবে রেকর্ডভুক্ত হয়।

এর প্রায় ৬০ বছর পর, ২০২২ সালে রবীন্দ্র মোহন দাস নিজেকে রেবতী মোহন দাসের সন্তান দাবি করে জেলা প্রশাসক ও বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশনের বিরুদ্ধে একটি মামলা (নং-৫১৪/২২) দায়ের করেন, যদিও আদালত ২০২৪ সালের ৮ মে মামলাটি খারিজ করে দেয়।

তবে মামলা খারিজ হওয়ার আগেই রবীন্দ্র মোহন দাস মিরাশ উদ্দিন সুমনকে আমমোক্তারনামা (মামলা পরিচালনার ক্ষমতা) দেন। এরপর তিনি মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করে নতুন করে ছানি মামলা দায়ের করেন। মামলা চলমান থাকা অবস্থায় চলতি বছরের ৬ জুন সদর আদালতের বিচারক পবন চন্দ্র বর্মণ ৮৪ শতক জমি ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকায় মিরাশ উদ্দিনের নামে লিখে দিতে নির্দেশ প্রদান করেন। ওই দিনই সদর সাবরেজিস্ট্রার আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়ন করেন।

এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা চলছে।

র‍্যালির মোড়ের বাসিন্দা আবুল হোসেন বলেন, ‘প্রধান রাস্তার পাশেই জমির অবস্থান। জমিটি যেকোনো শিল্পপতি অনায়াসে শত কোটি টাকা দিয়ে কিনবে। তবে শুনছি, তা সাড়ে ৫ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে—বিষয়টি হাস্যকর।’

বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার মধ্যে তদন্তে নামেন জেলাপ্রশাসক ও দুনীর্তি দমন কমিশন।

গত মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সদর সাবরেজিস্ট্রি অফিসে তদন্তে যান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আজিম উদ্দিন।

তিনি বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে জেলা প্রশাসককে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। মূলত সাবরেজিস্ট্রার আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়ন করেছে। ২৪ আগস্ট রবিবার জেলা প্রশাসনের পক্ষে পূর্বের দলিলের কার্যক্রম স্থগিত করতে আদালতে ছানি মামলা করা হয়েছে।

ময়মনসিংহ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি মো.আজহারুল হক বলেন, জমির মামলার বাদী এবং বিবাদীর কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করেই আদালত জমিটির দলিল সম্পাদন করার জন্য সাবরেজিস্ট্রারকে নির্দেশদেন। আদালত এর আগে জেলা প্রশাসন ও সাবরেজিস্ট্রারকে নোটিশ প্রদান করেছিল।

জমিটি নিয়ে অন্য আদালতে মামলা রয়েছে কি না তা এই আদালতের জানার সুযোগ ছিল না। এখন একটি ছানি মামলা করা হয়েছে। পূর্বের দলিলের কার্যক্রম ইতোমধ্যে আদালত স্থগিত করেছে।

সদর সাব-রেজিস্ট্রার মো. জাহিদ হাসান বলেন, ‘আদালত যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছে সেভাবে আমি দলিল কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি। আদালতের নির্দেশ অমান্য করার কোনো সুযোগ আমার নেই।’

ময়মনসিংহ সমন্বিত জেলা কাযার্লয়ের দুদকের সহকারী পরিচালক রাজু মোহাম্মদ সারোয়ার হোসাইন বলেন, ‘আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে ঘটনার কারণ তদন্তে আমরা কাজ করছি। বিষয়টি জানতে সদর সাবরেজিস্ট্রি অফিস, পাটকল করপোরেশন এবং আদালতে গিয়ে বিভিন্ন কাগজপত্র ঘেঁটে দেখেছি। তবে অনেকের গাফিলতি রয়েছে। আদালত থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে দলিল ও ডিক্রি বাতিলের জন্য। এ ঘটনার সাথে যে বা যারা জড়িত তাদের বিষয়ে আরও অধিকতর তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Link copied!