সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কুন্দুড়িয়া এলাকার রাস্তার পাশের বাগান থেকে পাইথালী দূর্গা মন্দির সমিতির সভাপতি বিজন কুমার দে (৬০) এর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
বুধহাটা পুলিশী তদন্ত কেন্দ্রের আইসি সাব ইন্সপেক্টর-এসআই আব্দুর রহিম জানান, স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার সকালে কুন্দুড়িয়া এলাকার রাস্তার পাশের বাগান থেকে লাল গেঞ্জি নীল প্যান্ট পরিহিত এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান তার নাম বিজন কুমার দে। পেশায় তিনি মাছের পোনার ব্যবসায়ী। এবং পাইথালী গ্রামের ভঞ্জন দে’র ছেলে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা মন্দির সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিত্যানন্দ আমিন জানান, বিজন কুমার দে এলাকায় অত্যন্ত পরিচিত ব্যক্তি। তিনি বুধহাটা ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমান পাইথালী সর্বজনীন দূর্গা মন্দিরের সভাপতি। তিনি দুই সন্তানের পিতা। তার এই মরদেহ রাস্তার পাশে পড়ে থাকার ঘটনাটি বেদনাদায়ক। দ্রুত এ ঘটনার যথাযথ তদন্ত প্রকাশের জন্য আহবান জানান।
বিজন কুমার দে’র বড় ছেলে প্রণব দে জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বাজারে যান তারপর আর ফিরে আসেন নি। রাতে না ফেরায় দুশ্চিন্তায় ছিল পরিবারের সবাই। পরে সকালে মরদেহ উদ্ধার হওয়ার খবর পান। তার বাবা সুস্থ সবল একজন মানুষ ছিলেন। তিনি এই মৃত্যু রহস্য দ্রুত উদঘাটনের জন্য দাবি জানান।
নিহতের ভাই স্কুল শিক্ষক রঘুনাথ দে জানান, তার বড় ভাই বিজন কুমার দে সন্ধ্যার দিকে স্থানীয় পাইথলি বাজারে যান। স্ত্রী আগেই মারা যাওয়ায় তিনি বাড়িতে একা এক ঘরে থাকতেন। তার পুত্রবধূ রাতে ঘরে খাবার রেখে আসতো। তিনি বাড়ি এসে খেয়ে নিতেন। কিন্তু বুধবার সকালে ঘরে যেয়ে দেখা যায় খাবার যেভাবে রাখা ছিল সেই ভাবেই রয়েছে। তিনি রাতে বাড়িতে ফেরেননি। পরে লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারলাম পার্শ্ববর্তী কুন্দড়িয়া চুমুরিয়া গ্রামের বেড়িবাঁধের পাশে তার মরদেহ পড়ে রয়েছে। বিষয়টি সাথে সাথে আশাশুনি থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়।
আশাশুনি থানার ওসি শামসুল আরেফিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হচ্ছে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ বলা যাবে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন