দীর্ঘদিনের আন্দোলন, একাধিক তদন্ত কমিটি গঠন ও লিখিত আশ্বাসের পরও কোনো কার্যকর সমাধান না আসায় দক্ষিণ চট্টগ্রামের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গণছুটি কর্মসূচি শুরু করেছেন।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) থেকে তারা এই কর্মসূচি পালন করেছেন।
এর ফলে লোহাগাড়া, আনোয়ারা, গুনাগরি, সাতকানিয়া, বাঁশখালী ও বোয়ালখালী উপজেলায় বড় ধরনের বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পটিয়া জোনাল হেড অফিসে অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা গণছুটিতে যাওয়ার জন্য ইতোমধ্যে স্বাক্ষর জমা দিয়েছেন।
এ দিন সরেজমিনে আনোয়ারা, লোহাগাড়া, বোয়ালখালী, বাঁশখালী, চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, পল্লী বিদ্যুৎ অফিসগুলো কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিসে উপস্থিত হননি। অধিকাংশ অফিস কক্ষ ফাঁকা ছিল।
কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা জানান, তারা কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকে নির্ধারিত ছুটির ফরম পূরণের মাধ্যমে এই গণছুটি পালন করছেন।

সমিতির নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, ‘আরইবি-পিবিএস একীভূতকরণ ও অভিন্ন চাকরিবিধি’ দ্রুত বাস্তবায়ন, বিদ্যুৎ বিভাগের অবহেলা বন্ধ এবং দমন-পীড়নের অবসান করতে হবে। এসব দাবির বাস্তবায়ন না হলে দক্ষিণ চট্টগ্রামে দীর্ঘমেয়াদি বিদ্যুৎ সংকট দেখা দিতে পারে বলে তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
গণছুটিতে যাওয়া কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, ‘গত পাঁচ দিন ধরে বিদ্যুৎ সেবা সচল রেখেই শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করেছি। কিন্তু কোনো ইতিবাচক সাড়া না পেয়ে আমরা গণছুটি ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছি।’
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার দিলিপ চন্দ্র চৌধুরীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন