ক্রীড়াপ্রেমী কক্সবাজারবাসী প্রতীক্ষায় ছিল এক রোমাঞ্চকর ফাইনাল ম্যাচের। রামু ও টেকনাফ উপজেলার মধ্যকার এই লড়াই ঘিরে আগ্রহ ছিল সীমাহীন। কিন্তু সেই প্রতীক্ষার পরিণতি হলো হতাশা, ক্ষোভ আর রণক্ষেত্রের ভয়াল দৃশ্য। অব্যবস্থাপনা ও বিশৃঙ্খলার কারণে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা স্থগিত করেছে প্রশাসন।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে এ ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ দর্শকরা স্টেডিয়ামে অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় মাঠজুড়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), অন্তত ১০ জন আনসার ও পুলিশ সদস্য এবং বেশ কিছু দর্শক আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
জানা গেছে, সন্ধ্যায় নির্ধারিত ছিল রামু ও টেকনাফ উপজেলার মধ্যকার ফাইনাল খেলা। কিন্তু স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি টিকেট বিক্রি, পর্যাপ্ত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা না থাকা এবং প্রবল ভিড় সামলাতে ব্যর্থতার কারণে মাঠে নামতেই পারলেন না খেলোয়াড়েরা।
উচ্ছ্বসিত দর্শকরা গেইট ভেঙে ঢুকে পড়লে মুহূর্তেই হারিয়ে যায় খেলার পরিবেশ। ক্রীড়া উৎসব পরিণত হয় চরম বিশৃঙ্খলায়—অগ্নিসংযোগ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ আর আহতদের আহাজারিতে ঢাকা পড়ে যায় ফাইনালের আনন্দ।
অবশেষে প্রশাসন খেলা স্থগিত ঘোষণা করে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারশেল ছুড়তে বাধ্য হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ঘটনায় তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন