বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বরগুনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২৫, ১০:২১ পিএম

বরগুনায় বিএনপির একাংশের জনসভা, অনুপস্থিত সিনিয়র নেতারা

বরগুনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২৫, ১০:২১ পিএম

বরগুনায় জনসভায় বিএনপির নেতাকর্মীদের একাংশ। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

বরগুনায় জনসভায় বিএনপির নেতাকর্মীদের একাংশ। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এবং বিএনপির ঘোষিত ৩১ দফা প্রচারের লক্ষ্যে বরগুনায় বিএনপির একাংশের আয়োজনে জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঞ্চে বরগুনা-১ আসনের তিনজন বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীর উপস্থিতি ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। তবে সিনিয়র নেতাদের অনুপস্থিতি নেতাকর্মীদের মধ্যে ‘হতাশা’ তৈরি করেছে।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে বরগুনা শহরের সাহাপট্টি সিদ্দিক স্মৃতি মঞ্চে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ব্যানারে এই জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।

নেতাকর্মীরা জানান, বরগুনার বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত সিনিয়র নেতাদের অনুপস্থিতি জনসভাটিকে প্রাণহীন করে তোলে। অনেকেই অভিযোগ করেন, আজকের জনসভাটি ছিল ব্যক্তিগত প্রচারের উদ্দেশ্যে আয়োজন করা, ৩১ দফা কর্মসূচি প্রচার নয়। বক্তাদের মতে, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক ঘোষিত ৩১ দফা প্রচারের জন্য জনসভা করা হলে দলের সব স্তরের নেতাকর্মীর উপস্থিতি থাকা উচিত ছিল। এভাবে বিক্ষিপ্তভাবে আয়োজন করলে তা নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন তৈরি হওয়াই স্বাভাবিক।

একটি সূত্র জানায়, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবকে না জানিয়ে জনসভা আয়োজন এবং জনসভায় বিএনপির নেতৃবৃন্দকে নিয়ে অশোভন মন্তব্য করায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ হতাশা প্রকাশ করেছেন।

‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা প্রচার ও বরগুনাবাসীর প্রত্যাশা’ শীর্ষক এই জনসভায় বক্তব্য রাখেন বরগুনা জেলা বিএনপির প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক ও বরগুনা-১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী মো. ফজলুল হক মাস্টার, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. রেজবুল কবির, এবং ওমর আবদুল্লাহ শাহীন। তারা তিনজনই আসন্ন নির্বাচনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী।

এ ছাড়া জনসভায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। বক্তারা তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচিকে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন বলে উল্লেখ করেন এবং বরগুনাবাসীকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।

অ্যাডভোকেট মো. রেজবুল কবির বলেন, একক ব্যক্তির হাতে যেন ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত না হয়, সেদিকে দলের নীতিনির্ধারকদের সতর্ক থাকতে হবে। অনেকে বলেন, ‘তারেক রহমান ফোন দিয়েছেন’, কিন্তু আসল বিষয় হলো—বরগুনার মানুষ ধানের শীষে ভোট দিতে চায়, তবে তারা চায় সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে। দুর্নীতিমুক্ত, চাঁদাবাজিমুক্ত নেতৃত্বই বরগুনাবাসীর প্রত্যাশা।

মো. ফজলুল হক মাস্টার বলেন, ‘তারেক রহমান সবসময় ন্যায়পরায়ণ, সৎ ও নিষ্ঠাবান নেতাকে পছন্দ করেন। কোনো চাঁদাবাজ বা টেন্ডারবাজকে দল মনোনয়ন দেবে না—বরং জনগণও এমন কাউকে ভোট দেবে না। আমি, রেজবুল কবির ও ওমর আবদুল্লাহ শাহীন—আমরা কেউই চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত নই। আমরা চাই সৎ, যোগ্য নেতার হাতে ধানের শীষের দায়িত্ব আসুক। এমন হলে বরগুনার মানুষ আনন্দের সঙ্গে ধানের শীষে ভোট দেবে।’

Link copied!