শতাধিক ট্রলার নিয়ে শামীম সাঈদীর নৌবহর

পিরোজপুর-২ আসনে জামায়াতের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও সাঈদীপুত্র আলহাজ শামীম সাঈদী শতাধিক ইঞ্জিন চালিত ট্রলারে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে স্বরূপকাঠিতে নৌবহর করেছেন। এই আসনে তার নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে তিনি ওই নৌবহর করেন একই সাথে জামায়াতের পক্ষে তিনি ব্যাপক প্রচারণা ও গণসংযোগ করেন।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) তিনি শতাধিক ট্রলারে নেতাকর্মীদের নিয়ে স্বরূপকাঠি উপজেলার সন্ধ্যা নদীর পশ্চিম পাড়ের বিভিন্ন এলাকায় নদীপথে ঘুরে ঘুরে তার নির্বাচনী প্রচারণা চালান ।

নৌবহরে কয়েক হাজার জেলা এবং স্থানীয় জামায়াতের নেতাকর্মী ও সমর্থক অংশ নেন। নদীপথজুড়ে স্লোগান, ব্যানার-ফেস্টুনে মুখরিত হয়ে ওঠে এলাকাগুলো। নদী ও খালের দুইপাড়ে উৎসুক জনতাকে হাত নাড়িয়ে সালাম ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি। এ সময় স্থানীয় ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে তিনি সবার দোয়া ও সমর্থন কামনা করেন।

পরে শামিম সাঈদী তার নৌবহর নিয়ে বলদিয়া ইউনিয়নের চৌদ্দরশি এলাকায় যান এবং সেখানে দলীয় কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন। 

এ সময় শামীম সাঈদী বলেন, আমরা নবী করিম (সা.)-এর বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চাই। তিনি যেভাবে জীবনাদর্শকে মানুষের সামনে তুলে ধরেছেন, আমাদের জীবন যেন সেই পথেই প্রবাহিত হয়। আমরা যে ভুলত্রুটি করি তা সংশোধনের পথ আল্লাহর প্রেরিত রাসুল আমাদের দেখিয়েছেন। সেই পথেই আমরা চলছি। মানুষের কাছে সেই দাওয়াত পৌঁছে দেওয়ার অনেক পথ আছে, তার মধ্যে আমরা একটি পথ বেছে নিয়েছি যাতে সবাই তা দেখতে পারে।

তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্টের পরে দেশে দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টির একটি পায়তারা ছিল। কিন্তু জামায়াতে ইসলামী আমাদের হিন্দু ভাইদের ঘরবাড়ি ও মন্দির পাহারা দিয়েছে, মা-বোনদের সম্ভ্রম রক্ষা করেছে। আমার পিতা আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী পিরোজপুরে ১০ বছর এমপি ছিলেন। সেই সময়ে হিন্দু ভাইয়েরা তাদের ধর্মীয় কর্মকাণ্ড শান্তিপূর্ণভাবে করার সুযোগ পেয়েছেন। গত ১৭ বছরে তারা সঠিকভাবে অনেক কিছু করতে পারেননি। তারা মনে করেন আল্লামা সাঈদীর সময়ে তারা ভালো ছিলেন এবং সেই অবস্থায় ফিরতে চান। তাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ১০০ হিন্দু ভাই আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। আগামীতে তারা বহর নিয়ে আসবেন, ঘরে ঘরে গিয়ে দাঁড়িপাল্লার পক্ষে ভোট চাইবেন।

জামায়াতে ইসলামী আল্লাহ ছাড়া কাউকে পরোয়া করে না: মাসুদ সাঈদী

বিস্তারিত পড়ুন

নৌ-বহরে জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাও. মো. আ. রাজ্জাক, উপজেলা জামায়াতের আমির মাও. মো. আবুল কালাম আজাদ, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাও. মো. মহিউদ্দিন, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাও. মো. আব্দুর রশিদ, সহকারী সেক্রেটারি মাও. মো. জহিরুল ইসলাম, বাইতুল মাল সেক্রেটারি মাও. মো. নিজাম উদ্দিন, কর্মপরিষদ সদস্য মো. গোলাম আজম আছলাম, মো. শাহ জাকির হোসাইন, মো. সাইদুর রহমান, মজলিশে শুরা সদস্য মো. মাছুম বিল্লাহ, মাওলানা আবুল হালিম প্রমুখ অংশ নেয়।