শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৫, ০৪:৩৮ পিএম

হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতারা ছাত্রদল-যুবদলে

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৫, ০৪:৩৮ পিএম

মো. সাদ্দাম হোসেন ও মোহাম্মদ আমীর হামজা। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

মো. সাদ্দাম হোসেন ও মোহাম্মদ আমীর হামজা। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ঢাকার সাভারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দায়ের হওয়া একটি হত্যা চেষ্টার মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার এক ছাত্রলীগ ও এক যুবলীগ নেতাকে ছাত্রদল ও যুবদলের সক্রিয় কর্মী হিসেবে প্রত্যয়ন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

গত বছরের (১৩ সেপ্টেম্বর) সোহেল আহমেদ নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় ১০৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ১৫০/২০০ জন অজ্ঞাতনামাকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় সাটুরিয়ার ছাত্রলীগ নেতা মো. রায়হান ও যুবলীগ কর্মী আল মাহমুদ সবুজের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

অভিযোগ উঠেছে, মামলার পর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক মো. সাদ্দাম হোসেন এবং উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মোহাম্মদ আমীর হামজা পৃথক দুটি প্রত্যয়নপত্রে তাদেরকে ছাত্রদল ও যুবদলের সক্রিয় কর্মী বলে উল্লেখ করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মো. রায়হান পূর্বে ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন এবং উপজেলা ছাত্রলীগের একটি কমিটিতেও তার নাম ছিল। তবে সাদ্দাম হোসেন একটি প্রত্যয়নপত্রে রায়হানকে উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ত্যাগী কর্মী বলে দাবি করেন। কিন্তু জেলা ছাত্রদলের তৎকালীন সভাপতি রেজাউল ইসলাম খান সজীব জানান, তার দেওয়া কমিটিতে রায়হানের নাম ছিল না; বরং সাধন সরকারের নাম এডিট করে প্রতারণার মাধ্যমে রায়হানের নাম বসানো হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক মো. সাদ্দাম হোসেনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। ফলে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

অন্যদিকে, সাটুরিয়া উপজেলা যুবলীগের সক্রিয় কর্মী আল মাহমুদ সবুজকে যুবদলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত কর্মী হিসেবে প্রত্যয়ন দেন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মোহাম্মদ আমীর হামজা। প্রত্যয়নপত্রে দাবি করা হয়, তিনি সাটুরিয়া সদর ইউনিয়ন যুবদলের সহ-ক্রিয়া সম্পাদক। তবে যাচাই করে দেখা যায়, ওই দায়িত্বে রয়েছেন মো. আবদুল আলীম নামের এক ব্যক্তি। অভিযোগ উঠেছে, তার নাম এডিট করে আল মাহমুদ সবুজকে ওই পদে দেখানো হয়েছে।

এ বিষয়ে মোহাম্মদ আমীর হামজা সাংবাদিকদের বলেন, ‘মোবাইলে কিছু বলবো না, সামনাসামনি এলে বিষয়টি ব্যাখ্যা করবো।’

এ প্রসঙ্গে জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কাজী মোশতাক হোসেন দীপু বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই, এখনই আপনার কাছ থেকে শুনলাম। তদন্ত করে সত্যতা পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাভার থানার উপ-পরিদর্শক চম্পক বড়ুয়া জানান, ‘তদন্ত চলমান রয়েছে। ঘটনার সময় আসামিরা জড়িত ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

Link copied!