যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় গৃহবধূ তৃপ্তি মন্ডল (৪৫) হত্যা মামলার প্রধান আসামি শংকর মন্ডল (৫৫) হারপিক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ শনিবার (০৪ অক্টোবর) ভোরে পুলিশ তাকে নিজ বাড়ি থেকে উদ্ধার করে মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শংকর মন্ডল উপজেলার কৃষ্ণবাটি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় ভ্যানচালক অবনিশ মন্ডলের স্ত্রী তৃপ্তি মন্ডলকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত।
মনিরামপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, ‘শনিবার ভোররাতে শংকর মন্ডল নিজ বাড়িতে হারপিক পান করেন। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।’
মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ আলেক উদ্দিন বলেন, ‘সকাল ৭টা ২৫ মিনিটে পুলিশ শংকর মন্ডলকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তিনি হারপিক পান করেছিলেন। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তি করি।’
স্থানীয়রা জানান, শংকর মন্ডলের সঙ্গে তৃপ্তি মন্ডলের প্রেমঘটিত সম্পর্ক ছিল। একপর্যায়ে শংকর তাকে ঘরে তুলতে চাইলে তৃপ্তি তার ভিটেবাড়ি দাবি করেন। এই বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়, যা শেষ পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডে গড়ায়।
গত বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে কৃষ্ণবাটি গ্রামে তৃপ্তি মন্ডলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর গতকাল শুক্রবার ভোরে নিহতের স্বামী অবনিশ মন্ডল মনিরামপুর থানায় শংকর মন্ডলকে একমাত্র আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, মামলার তদন্ত চলছে এবং ঘটনার সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন