দেশের মধ্যে শস্যভান্ডার বলে খ্যাত বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় মাঠজুড়ে দুলছে কৃষকের সোনালি স্বপ্ন। চলতি মৌসুমে বিস্তীর্ণ মাঠে রোপা আমন ফসলের সবুজ চাদর। মাঠে আগাম সোনালি ধানের শীষ দেখে কৃষক পরিবারের চোখে মুখে স্বপ্ন বুনছে। সেই সাথে তাদের মনে দোলা দিচ্ছে এক ভিন্ন আমেজ। মাঝে মধ্যে বৃষ্টিপাত হলেও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এই উপজেলায় এবারও রোপা আমনের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানা যায়, চলতি মৌসুমে আদমদীঘি উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা মিলে এবার ১২ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষ করা হয়। এর মধ্যে স্বর্ণা-৫, বিনা-১৭, বিআর-৯০ ও সুগন্ধি-সহ বেশ কয়েক জাতের রোপা আমন ধান চাষ করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে আমন ধান গাছে মাজরা ও উড়ানি পোকার আক্রমন হলেও কীটনাশক ব্যবহারে অনেকটায় পোকা দমন করা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে কৃষকরা ধানের গাছ ভালো রাখতে ও ধানের উৎপাদন বাড়াতে জমিতে সতর্কতামুলক কীটনাশক স্প্রে করার পাশাপাশি কৃষি অফিসের পরামর্শে কৃষকরা সার্বক্ষণিক জমিতে পরিচর্যা করছেন। এবার মাঝে মধ্যে বৃষ্টিপাত হলেও আমন আবাদের জন্য আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে কৃষকরা।
আদমদীঘি উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামের কৃষক আলামিন মন্ডল বলেন, এখন পর্যন্ত তেমন কোনো রোগবালাই দেখা দেয়নি। আমাদের মাঠে আগাম জাতের বিনা-১৭ ধনের শীষ দেখা দিয়েছে। আবার কিছু জমির ধান কেবল ফুলছে। আর মাত্র কয়েকদিন পরেই মাঠের অধিকাংশ ধান সোনালি বর্ণ ধারণ করবে।
উজ্জলতা গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, এবার ধান খেতে পরিমাণমতো পানি ও ধানের গাছে কীটনাশক ব্যবহারে গাছের অবস্থা খুবই ভালো হয়েছে। তাই এবারও বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে।
আদমদীঘি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম জানান, বাম্পার ফলন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে আমরা মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে আসছি। কৃষকরা যাতে লাভবান হতে পারে। এ জন্য কৃষি অফিস থেকে সার্বক্ষণিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার ধান গাছে রোগবালাই কম দেখা দিয়েছে। আশা করি বিগত মৌসুমের চেয়ে এ উপজেলায় এবার আমন ধানের বাম্পার ফলন হবে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন