প্রকৃতিতে এখন চলছে শরৎকাল। এসময় আকাশ কখনো মেঘে ঢাকা, কখনো আবার উজ্জ্বল নীলিমায় ভরপুর। এরই মধ্যে নামে হালকা বৃষ্টি। রোদ, মেঘ আর বৃষ্টির এই খেলা যেন ঋতুবদলের আয়োজন করেছে প্রকৃতিতে। কুয়াশাচ্ছন্ন ভোর আর হালকা হিমেল হাওয়ায় প্রকৃতি জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা।
এদিকে গত দুই দিন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় কুয়াশা দেখা দিয়েছে। কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে মাঠ ঘাট। সকাল ৭টা পর্যন্ত কুয়াশা চাদরে ঢেকে থাকায় সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। এই কুয়াশাকে অনেকে শীতের আগমনী বার্তা বলে মনে করছেন। তবে দিনের বেলায় এই বৃষ্টি এই রোদ আর গরম থাকলে ও শেষ রাতের দিকে কিছুটা ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।
এদিকে সকালে পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভোর রাত থেকে পড়া কুয়াশায় ভিজে আছে গাছের পাতা, সবুজ ধানের ক্ষেত। দূর থেকে দেখলে মনে হয় যেন শীতের কুয়াশা।
পৌর শহরের তারাগন এলাকার মো. আশরাফুল আলম বলেন, সকালে মসজিদে ফজরের নামাজ পড়তে বের হওয়ার সময় ভালো কুয়াশা দেখা গেছে। তবে এই কুয়াশা সকাল ৭টা পযর্ন্ত কম বেশি দেখা গেছে। তিনি আরও বলেন, দিনের বেলায় রোদ বৃষ্টি ও হালকা গরম থাকে। শেষ রাতে কিছুটা শীত অনুভূত হয়। কুয়াশায় মনে হচ্ছে এবার একটু আগেভাগেই শীতের দেখা মিলবে।
সকালে হাঁটতে বের হওয়া মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমি নিয়মিত সকালে হাঁটতে বের হই। গত কয়েক দিন ধরে সকালে হালকা কুয়াশা দেখা গেলে ও আজকে একটু বেশি মনে হচ্ছে। কুয়াশা দেখে মনে হচ্ছে শীত দরজায় কড়া নাড়ছে।
পথচারী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে রাতে গরম অনেকটাই কমেছে। এ জন্য মাঝরাত থেকেই কুয়াশা পড়ছে। গত দুই দিন ধরে ভোরে কুয়াশায় ঢেকে থাকায় সকাল ৭টার পর সূর্যের দেখা মিলেছে।
আখাউড়া উপজেলা উপসহকারী কৃষি অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, গত কয়েক দিন ধরে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। পাশাপাশি ভোর রাতে কুয়াশার দেখা মিলছে। এতে শীতের আগমনী বার্তা পাওয়া যাচ্ছে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন