মাছ আহরণ করে রাঙামাটিতে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএফডিসি)’র অবতরণ কেন্দ্রে রাজস্ব আদায়ে সময় বৃদ্ধির দাবিতে কাপ্তাই হ্রদ থেকে মাছ আহরন বন্ধ করে দিয়েছে জেলে ও ব্যবসায়িরা। এতে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএফডিসি)’র রাজস্ব আদায় বন্ধ হয়ে গেছে।
গত বুধবার সন্ধ্যা থেকে এই মাছ ধরা বন্ধ করা হয়েছে। ব্যবসায়িদের দাবি গত দুই বছর ধরে মাছ ধরে তা অবতরণ ঘাটে অবতরণ করার জন্য স্বল্প সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয়। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ব্যবসায়িরা।
বিভিন্ন দূর দুরান্ত থেকে মাছের বোটে করে রাঙামাটির বিএফডিসির ঘাটে আসতে কিছুটা দেরি করলে সেই মাছের রাজস্ব গ্রহণ করে না বিএফডিসি। এতে মাছের গুনগত মান নষ্ট ও পঁচে গিয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন ব্যবসায়িরা। একইসাথে জেলেরাও মাছের নায্য দাম পাচ্ছে না।
ব্যবসায়িরা দাবি করেন, সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪টা এবং রাত ৮ টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র খোলা রেখে মাছের রাজস্ব আদায় করার সময় বৃদ্ধি করতে হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত মাছ আহরণ বন্ধ রাখার ঘোষনাও দেন ব্যবসায়ি নেতারা। এতে বিপাকে পড়েছে মাছ ব্যবসার সাথে জড়িত ব্যবসায়ী,জেলে ও শ্রমিকরা।
কাপ্তাই হ্রদ বৃহত্তম মৎস্য ব্যবসায়ি সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ উদ্দিন বলেন, বিএফডিসির কমান্ডার বরাবরে মৎস্য আহরণ নিয়ে আমাদের দাবি দাওয়া সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি চিঠি দেওয়া হলেও অদ্যবধি কোন উদ্যোগ নেয়নি তিনি। বিএফডিরি অবতরণ কেন্দ্রে রাজস্ব আদায়ের জন্য সময় বৃদ্ধি না করায় জেলে ও ব্যবসায়িরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। কোন উপায় না দেখে আমরা মাছ ক্রয় করা বন্ধ করে দিয়েছি।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএফডিসি)’র রাঙামাটি মৎস্য কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক কমান্ডার মোঃ ফয়েজ আল করিম (এনডি) বিএন জানান, সরকারি নিয়মনীতির আলোকেই মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা আছে।
তিনি বলেন, এছাড়া ও মাঝপথে কিছু বিরতি দিয়ে রাত নয়টার স্থলে সাড়ে নয়টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো জানান, সময় বাড়ানোর সাথে সাথে অনেক কিছু জড়িত আছে। বর্তমানে যে সময় দেওয়া হয়ে তাতে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় হবে।
উল্লেখ্য: কাপ্তাই হ্রদ থেকে মৎস্য আহরন করে বিএফডিসির অবতরণ ঘাটে সরকারি রাজস্ব দিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যাওয়া হয়। হ্রদের উপর নির্ভর করে ২৭ হাজার জেলে, ৫’শ ব্যবসায়ি ও ৫ হাজার শ্রমিক। বিএফডিসি প্রতি কেজি মাছে সর্বোচ্চ ৪০ টাকা ও সর্বোনিন্ম ২১ টাকা রাজস্ব নিচ্ছে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন