শনিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০২৫, ০৪:৩৩ পিএম

গঙ্গাচড়ায় চাঁদাবাজি ও অপপ্রচারের অভিযোগে ৩৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০২৫, ০৪:৩৩ পিএম

গ্রেপ্তার তিন আসামি।

গ্রেপ্তার তিন আসামি।

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার মহিপুর এলাকায় চাঁদাবাজি, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচারের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- খোকা মিয়া, দছির উদ্দিন ও সোনা মিয়া। এর মধ্যে দছির উদ্দিন আগে একটি মাদক মামলায় ৩৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি।

গঙ্গাচড়া মডেল থানা-পুলিশ শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) রাতে মহিপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তিনজনকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।

মহিপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. জামাল বাদশার (২৩) লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এই পদক্ষেপ নেয়। অভিযোগে বলা হয়, গ্রেপ্তার আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক কারবার, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত। তারা সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায় করতেন।

অভিযোগে জামাল বাদশা উল্লেখ করেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা তার কাছেও ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মানহানিকর ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। পরে টাকা না দেওয়ায় স্থানীয় কিছু যুবককে ভুল বুঝিয়ে তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও মিছিল করে অপপ্রচার চালানো হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দছির উদ্দিন মাদক মামলায় ৩৪ বছরের সাজা নিয়ে পলাতক ছিলেন এবং দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় প্রকাশ্যে চলাফেরা করছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, তিনি এখনো মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত। সম্প্রতি পুলিশের হাতে ৮০ বোতল ফেনসিডিল জব্দ হওয়ার ঘটনায় অনেকেই দাবি করেছেন, ওই মাদক তারই ছিল।

এলাকাবাসীর ভাষ্য, এ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জিম্মি করে টাকা আদায় করত। এমনকি তারা চেয়ারম্যান ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সিদ্ধান্তও মানত না। ‘বিচারের নামে’ সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা দ্রুত অভিযান চালিয়ে তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। তদন্ত চলছে, আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

স্থানীয়দের আশা, এ ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হলে এলাকায় শান্তি ও স্বস্তি ফিরে আসবে।

Link copied!