বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৭, ২০২৫, ০৫:০১ পিএম

গাজীপুরে ডাবল অ্যা ইয়ার্ন মিলস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৭, ২০২৫, ০৫:০১ পিএম

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার জৈনাবাজার এলাকায় অবস্থিত ডাবল অ্যা ইয়ার্ন মিলস লিমিটেডের চারটি ইউনিট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। হঠাৎ এ সিদ্ধান্তে প্রায় তিন হাজার শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে কারখানার মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে শ্রমিকরা বকেয়া বেতন পরিশোধ ও কারখানা পুনরায় চালুর দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন।

এ সময় তারা বলেন, সেপ্টেম্বর মাসের বেতন এখনো পরিশোধ করা হয়নি। গত ২৩ অক্টোবর বেতন-ভাতার দাবিতে আন্দোলনের পর পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা বেতন দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু সোমবার কাজে এসে দেখা যায়, কারখানার ফটকে বড় করে লেখা—‘অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ’।

এক শ্রমিক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন আশা নিয়ে কাজে আসি। এখন দেখি, তালা ঝুলছে। ঘরে চাল নেই, বাচ্চার স্কুল ফি দিতে পারছি না। এভাবে কেমন করে চলব?’

কারখানার মানবসম্পদ কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন বলেন, ‘গত আন্দোলনের সময় শ্রমিকরা কিছু মেশিন ভাঙচুর করেছিল। তাই বাংলাদেশ শ্রম আইনের ১৩(১) ধারা অনুযায়ী কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।’

এদিকে, শিল্প পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুল লতিফ খান বলেন, ‘পরিস্থিতি শান্ত রাখতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। শ্রমিকদের আগামীকাল সকালে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’

গাজীপুরের শ্রীপুর ও কালিয়াকৈর এলাকায় গত কয়েক মাসে কয়েকটি স্পিনিং, ডাইং ও গার্মেন্টস কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষের দাবি, বৈদেশিক অর্ডার কমে যাওয়া, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকট এবং উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় তারা কারখানা চালাতে পারছে না।

তবে শ্রমিক নেতাদের অভিযোগ, মালিকপক্ষ সংকটের অজুহাতে বেতন বকেয়া রেখে একের পর এক কারখানা বন্ধ করে দিচ্ছে। ফলে গাজীপুরের হাজারো শ্রমিক এখন বেকার। কেউ কেউ অন্য জেলায় কাজের সন্ধানে যাচ্ছেন, আবার কেউ জীবিকা হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

Link copied!