কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও মাদক বিক্রির নগদ ২ লক্ষাধিক টাকাসহ মো. আব্দুর রহিম মিয়াজী (৩৭) নামের এক যুবদল নেতাকে আটক করা হয়েছে।
আটককৃত আব্দুর রহিম উপজেলার কনকাপৈত ইউনিয়নের করপাটি পশ্চিম পাড়ার মিয়াজী বাড়ির মৃত আব্দুল কুদ্দুস মিয়াজীর ছোট ছেলে। তিনি কনকাপৈত ইউনিয়ন যুবদলের সহসম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন বলে জানা গেছে। পরে জব্দকৃত ইয়াবা ও নগদ টাকাসহ তাকে চৌদ্দগ্রাম থানাহাজতে নিয়ে আসা হয়।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকালে তার বিরুদ্ধে থানায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ।
থানা সূত্রে জানা গেছে, চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর চৌদ্দগ্রাম ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দিবাগত রাত অর্থাৎ বুধবার (২৯ অক্টোবর) গভীর রাত আড়াইটায় উপজেলার কনকাপৈত ইউনিয়নের করপাটি গ্রামে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ইউনিয়ন যুবদলের সহসম্পাদক, এলাকার চিহিৃত মাদক কারবারি মো. আব্দুর রহিম মিয়াজীকে আটক করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার স্বীকারোক্তির পরিপ্রেক্ষিতে নিজ বাসার শোবার ঘরের স্টিলের আলমিরায় বিশেষ কায়দায় সংরক্ষিত ২ হাজার ৬৬৪ পিস ইয়াবা ও মাদক বিক্রির নগদ ২ লাখ ২১ হাজার ৬২০ টাকা, দুটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
যৌথবাহিনীর সফল এ অভিযানের ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে বলে জানা গেছে। সচেতন নাগরিকরা মাদকবিরোধী এই কার্যক্রম জোরদারভাবে অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, বুধবার গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় উপজেলার কনকাপৈত ইউনিয়নের করপাটি গ্রামে বিশেষ অভিযান চালিয়ে চিহিৃত মাদক কারবারি আব্দুর রহিমকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তার কাছ থেকে ২ হাজার ৬৬৪ পিস ইয়াবা, নগদ ২ লাখ ২১ হাজার ৬২০ টাকা ও দুটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। আটককৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় মাদক আইনে মামলা দায়ের শেষে বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে থানা পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন