রাজশাহীতে এক বাসায় ঢুকে বিচারকের ছেলেকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় একজন যুবককে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বিচারকের স্ত্রীও। আজ (১৩ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে নগরীর ডাবতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সিলেটের সুরমা থানায় এই যুবকের বিরুদ্ধে আগে থেকে একটি জিডি করেছিলেন বিচারকের স্ত্রী তাসনিম নাহার। তবে কেন এই হামলা ঘটেছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। হামলার সময় বিচারকের স্ত্রী এবং অভিযুক্ত যুবক দুজনেই আহত হন এবং তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার পর উদ্ধার করা তথ্য অনুযায়ী, অভিযুক্ত যুবক ভবনে প্রবেশের সময় দারোয়ানের কাছে ‘লিমন’ নামে নিজের নাম লিখে দেন। তিনি বিচারক আব্দুর রহমানের ভাই হিসেবে পরিচয় দিয়ে পাঁচতলার ফ্ল্যাটে ঢুকেন। তার সঙ্গে একটি ব্যাগ ছিল।
দারোয়ান মেসের আলী জানান, তিনি আগে কখনো ওই যুবককে দেখেননি। বিচারককে ভাই হিসেবে পরিচয় দেওয়ায় তিনি ঢুকতে দেন, তবে আগে নাম এবং মোবাইল নম্বর নেন।
দুপুর আড়াইটার দিকে যুবক ফ্ল্যাটে প্রবেশ করেন। প্রায় ৩০ মিনিটের মধ্যে ফ্ল্যাটের গৃহকর্মী এসে জানাযন যে, ফ্ল্যাটে বিচারকের ছেলে ও স্ত্রীকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। এরপর অন্যান্য ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা এসে তিনজনকেই আহত অবস্থায় পান। তাদের দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, নিহত সুমনের মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে, এবং অভিযুক্ত যুবক ও বিচারকের স্ত্রীকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়েছে।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান বিকেল ৫টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, হামলাকারীর পকেটে একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া গেছে, ধারণা করা হচ্ছে তিনি পেশায় চালক। এর সঙ্গে তার কিছু পূর্ববিরোধ থাকতে পারে।
কমিশনার আরও জানান, তাসনিম নাহার পূর্বে সিলেটের সুরমা থানায় অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে জিডি করেছিলেন। কেন এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তা তদন্ত সাপেক্ষে স্পষ্ট হবে।



সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন