শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০২৫, ০৩:০৯ পিএম

চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক

আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০২৫, ০৩:০৯ পিএম

অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. মিজানুল হক। ছবি:  রূপালী বাংলাদেশ

অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. মিজানুল হক। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বিছানায় শুয়ে নির্বাক চোখে চারপাশ দেখেন বরিশালের আগৈলঝাড়ার ভেগাই হালদার পাবলিক একাডেমির ইংরেজি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. মিজানুল হক। ত্রিশ বছর ধরে মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে যিনি ক্লাসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলেছেন, আজ তিনি কথা বলতেও পারছেন না। অসুস্থতার কথা শুনলে যিনি ছুটে যেতেন ছাত্র-অভিভাবকদের পাশে, আজ তিনি নিজে অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকলেও পাশে এসে দাঁড়াচ্ছে না কেউ।

অভিযোগ রয়েছে, অবসরের পর তিন বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো পাননি তাঁর অবসর ভাতা ও কল্যাণ ফান্ডের টাকা। অর্থাভাবে কিডনি ক্ষতিগ্রস্তসহ ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও অন্যান্য জটিল রোগে আক্রান্ত এই শিক্ষক চিকিৎসা করাতে পারছেন না। জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন তিনি।

বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার জল্লা ইউনিয়নের ওরাবাঁশবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা শিক্ষক মিজানুল হক ৩০ বছর শিক্ষকতা শেষে ২০২২ সালের ১১ অক্টোবর অবসরে যান। কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা বোর্ডে আবেদন করলেও এখনো পাননি তাঁর পাওনা টাকা।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তাঁর একমাত্র ছেলে ইমরান হোসেন ২০০৮ সালে আত্মহত্যা করেন। স্ত্রী সাজেদা খানম বয়সজনিত কারণে অসুস্থ। মেয়ে সামিয়া আক্তারের বিয়ে হয়েছে বহু বছর আগে। ফলে দেখাশোনার মতো কেউ নেই।

মেয়ে সামিয়া আক্তার বলেন, ‘আমার বাবা একজন আদর্শবান শিক্ষক ছিলেন। অবসর ভাতা ও কল্যাণ ফান্ডের টাকাই তাঁর শেষ সম্বল। আজ তিনি বিছানায় মৃত্যু-যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন, কিন্তু টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছি না। সরকার যেন দ্রুত তাঁর পাওনা টাকা দেয় এটাই দাবি।’

বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘একজন শিক্ষক সারাজীবন শিক্ষার আলো বিলিয়ে যান। কিন্তু অবসরের পর পাওনা টাকা না পেলে তার আর মূল্য কী? মরার পর টাকা পেয়ে কী লাভ?’

আগৈলঝাড়া মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ফারহানা আক্তার বলেন, ‘মিজানুল হকের মতো কোনো শিক্ষক যেন এমন বঞ্চনার শিকার না হন। তাঁর প্রাপ্ত টাকা দ্রুত পাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।’

ভেগাই হালদার পাবলিক একাডেমির প্রধান শিক্ষক যতীন্দ্র নাথ মিস্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বেতনের একটি অংশ অবসর ও কল্যাণ ফান্ডে জমা থাকে। তাই স্যারের পাওনা টাকা যেন দ্রুত প্রদান করা হয় এটা আমাদের আবেদন।’

এ বিষয়ে আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিখন বণিক বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করব।’

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!