শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০২৫, ০৬:৫৮ পিএম

নবান্নের উচ্ছ্বাস, বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে সোনালি ধানের হাসি

দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০২৫, ০৬:৫৮ পিএম

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

দশমিনা উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের গ্রামজুড়ে এখন এক অনন্য নবান্ন উৎসবের আমেজ। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে সোনালি রঙে পাকতে থাকা আমন ধান যেন শস্যসম্ভারের স্বপ্ন দেখাচ্ছে কৃষকদের। বাম্পার ফলনের আশায় কৃষকের মুখে ফুটে উঠেছে তৃপ্তি আর আনন্দের ঝিলিক। কোথাও ধান কাটার ব্যস্ততা, কোথাও আবার কাঁচা ধানের দোলা—সব মিলিয়ে পুরো উপজেলায় নবান্নের উৎসবমুখর পরিবেশ।

মাঠে মাঠে কৃষকদের ব্যস্ততা চোখে পড়ার মতো। সকালের মিষ্টি রোদ আর মৃদু হিমেল হাওয়ায় কৃষকদের পরিশ্রম যেন আরও প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে। দূর থেকে কেউ হয়তো ভাবতে পারে কৃষকরা কেবল রোদ পিঠে নিচ্ছেন; কিন্তু কাছে গেলে বোঝা যায় তাদের মুখমণ্ডলে খাঁটি আনন্দের প্রকাশ। কথায় কিংবা অঙ্গভঙ্গিতে বারবার ফুটে ওঠে এই ফসলের প্রতি অনাবিল ভালোবাসা। তারা বলছেন, 'এত ভালো ফলন বহু বছর দেখিনি।'

এদিকে গৃহস্থালির চুলায় উঠবে নতুন ধান, এজন্য গ্রামের নারীরাও কম ব্যস্ত নন। নতুন ধানের চালকে ঘরে তুলে নিতে কেউ ধান শুকানো, কেউ মাড়াই, কেউ-বা গোলাঘর পরিষ্কারের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। শিগগিরই উঠবে নতুন চালের পিঠা, পায়েস, খিচুড়ি, নবান্নের সব আয়োজন। কৃষকদের আশা, এই ফলন শুধু ঘর নয়, বাজারেও প্রাণ ফেরাবে।

সার্বিকভাবে, দশমিনার বিস্তীর্ণ আমনখেত এবার কৃষকদের পরিশ্রমকে সোনালি ফলনে পরিণত করেছে। উপজেলাজুড়ে এখন শুধু একটাই সুর—সোনার ধানের হাসি।

দশমিনা উপজেলায় বিস্তীর্ণ এলাকার জমিতে লক্ষ্য ছাড়িয়ে আমন আবা যেমন উত্তর বাঁশবাড়িয়া, মধ্য বাঁশবাড়িয়া, গছানী, ঢনঢনিয়া, চরহোসনাবাদ, নেহালগঞ্জ, আদমপুর, বহরমপুর, বগুরা, হাজিকান্দা, গোলখালী, আরজবেগী, সৈয়দজাফর, লক্ষীপুর, নিজাবাদ-গোপালদী, বেতাগী-সানকিপুর, জাফ্রাবাদ, মাছুয়াখালী, আলীপুর, যৌতা, খলিশাখালী, চাঁদপুরা, রণগোপালদী, আউলিয়াপুর, চরঘুনি, চরবোরহান, চরশাহজালাল, চরহাদি,এই সমস্ত এলাকাজুড়ে এবার কৃষকেরা লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে আমন ধান রোপণ করেছে। মাঠজুড়ে এখন দিগন্তবিস্তৃত ধানের ঢেউ, যা আশানুরূপের চেয়েও ভালো ফলনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার মো. জাফর আহম্মেদ জানান, এ বছর উপজেলার ১৯ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে, যা গতবারের তুলনায় বেশি। তিনি বলেন, “নিয়মিত মাঠ পর্যায়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের নিয়ে তদারকি করা হয়েছে। কৃষকদের সঠিক সময় সার, পানি ও রোগবালাই নিয়ন্ত্রণে উৎসাহিত করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা জোরালো।” এই ফলন কৃষকদের ঘরে সচ্ছলতা আনবে বলে আশা করছেন তিনি। ধান কেটে ঘরে তোলার আনন্দ ইতোমধ্যে গ্রামেগঞ্জে উৎসবের আবহ তৈরি করেছে।
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!