নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার অটোরিকশা চালক ইউসুফকে (২৮) হত্যা করে তার মরদেহ ঢাকার রায়েরবাগ এলাকায় ফেলে রেখে অটোরিকশা নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
রোববার (১৬ নভেম্বর) ভোরে পথচারীরা তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পরিবারকে খবর দিলে তারা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ইউসুফের গ্রামের বাড়ি বরিশালের কলাপাড়া থানার দানখালি গ্রামে। তার স্ত্রীর ও এক বছরের একটি সন্তান রয়েছে। বর্তমানে ফতুল্লা রেলস্টেশন এলাকায় ভাড়া থাকতেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রায়েরবাগের ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামগামী লেনের ইয়ামাহা-হোন্ডা শোরুমের সামনে ইউসুফের মরদেহ দেখতে পান পথচারীরা। এর আগেই পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে মরদেহ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, তার শরীরে একাধিক আঘাতের ‘চিহ্ন’ রয়েছে।
ফতুল্লা থানার ওসি (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই ইউসুফকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাটি যাত্রাবাড়ী থানার এলাকায় ঘটায় তারা তদন্ত করছে। তবে ইউসুফের মরদেহ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।’
যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, ভোর সাড়ে চারটার দিকে মহাসড়কের ওপর ইউসুফকে পড়ে থাকতে দেখে পথচারীরা। পুলিশ পৌঁছানোর আগেই স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
নিহতের মা আলো বেগম জানান, তার ছেলে শনিবার দুপুর তিনটার দিকে অটোরিকশা নিয়ে বের হন। রাত দশটার মধ্যে বাড়ি ফেরার কথা থাকলেও আর ফেরেননি। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।
বহু খোঁজাখুঁজির পর ভোরে জানতে পারেন, রায়েরবাগে মহাসড়কের ওপর ইউসুফের মরদেহ ফেলে রাখা হয়েছে।



সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন