রবিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০২৫, ০৮:৪৩ পিএম

বাংলাদেশ ও কাতার সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে জনবল প্রেষণের চুক্তি স্বাক্ষর

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০২৫, ০৮:৪৩ পিএম

বাংলাদেশ ও কাতার সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে জনবল প্রেষণের চুক্তি স্বাক্ষর। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

বাংলাদেশ ও কাতার সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে জনবল প্রেষণের চুক্তি স্বাক্ষর। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী ও কাতার সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে জনবল প্রেষণ সংক্রান্ত দীর্ঘ প্রতীক্ষিত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশি সেনারা কাতার সশস্ত্র বাহিনীতে নিয়োগের সুযোগ পাবে।

রোববার (১৬ নভেম্বর) কাতারের দোহাতে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান এবং কাতার সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল (পাইলট) জাসিম বিন মোহাম্মদ আল মান্নাই। 

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ হযরত আলী খান, দেলিগেশন সদস্য এবং দূতাবাসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

চুক্তি অনুযায়ী, প্রাথমিকভাবে প্রায় ৮০০ জন বাংলাদেশি সেনা কাতারে প্রেরণ করা হবে। এই প্রেষিত সদস্যদের প্রাথমিক নিয়োগকাল হবে তিন বছর, যা তাদের কর্মদক্ষতা সন্তোষজনক থাকলে সর্বোচ্চ ছয় বছর পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে। ভবিষ্যতে এই সংখ্যাও বাড়ানো সম্ভব।

আইএসপিআর জানিয়েছে, এই চুক্তি বাংলাদেশের জন্য একাধিক দিক থেকে লাভজনক। কাতার সশস্ত্র বাহিনীতে দক্ষ জনবল প্রেরণ হবে, যা দুই দেশের সামরিক সহযোগিতাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। এ ছাড়াও বাংলাদেশি সেনারা আর্থিকভাবে উপকৃত হবেন এবং বাংলাদেশ সরকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগ পাবে।

এই সফরের সময় প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান কাতার সরকারের উঁচুমাত্রার সামরিক কর্মকর্তা ও সামরিক শিল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।

উল্লেখযোগ্য, এ চুক্তি স্বাক্ষরের পেছনে পূর্বের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। চলতি বছরের ২১–২৫ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘আর্থনা’ সম্মেলনে অংশগ্রহণের সময় কাতার সফর করেন। সে সময় তিনি কাতার সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। সেই সফরের সফল কূটনৈতিক সংযোগের ফলস্বরূপ বাংলাদেশ ও কাতার সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে এই চুক্তি বাস্তবায়িত হয়েছে।

Link copied!