ঢাকা সোমবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৫

বাগবিতণ্ডা জেরে বিএনপি অফিস ও জামায়াতের পাঠাগার ভাঙচুর, আহত ১০

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৪, ২০২৫, ০৫:২০ পিএম
ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বাগবিতণ্ডার জের ধরে জগন্নাথদীঘির পাড়ে শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদ কার্যালয় ও কালিকাপুর ইউনিয়নের রাজার বাজার ইসলামী পাঠাগার ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছে। ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপি ও জামায়াত একে অপরকে দোষারোপ করছে।

সোমবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে বলে জানান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে প্রাপ্ত অভিযোগে জানা গেছে, জগন্নাথ ইউনিয়নের বিজয়করা পূর্বপাড়া প্রকাশ হইল্লাপাড়ার আরব হোসেন রাজু নামের বিএনপির এক সমর্থক ফেসবুকে বিতর্কিত পোস্ট ও রোববার বিকেলে স্বেচ্ছাসেবকদলের কর্মী সভায় উসকানিমূলক বক্তব্য এবং মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সন্ধ্যায় জগন্নাথদীঘি দীঘির পাড়ে স্থানীয় জামায়াত সমর্থকরা শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদে বিএনপি নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলতে যান।

এ সময় উপজেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি সাইফুল ইসলাম রাশেদের নেতৃত্বে কয়েকজন উশৃঙ্খলভাবে স্লোগান দিয়ে জামায়াত সমর্থকদের ওপর চড়াও হয়। এর প্রতিবাদে জামায়াত সমর্থকরা তাদের ওপর হামলা করলে রফিক মেম্বার, তপনসহ ৮–১০ জন আহত হয়। এ ছাড়াও বিএনপির সমর্থক আরব হোসেন রাজুর বাড়িতে হামলা করা হয়। পরে উপজেলা ছাত্রদলের সেক্রেটারি আবির চৌধুরীর নেতৃত্বে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা জামায়াত কর্মী ইসমাইল হোসেনকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। আহতদের অধিকাংশই বিভিন্ন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করেছে।

জগন্নাথে হামলার প্রতিবাদে উজিরপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা খালেদ সাইফুল্লাহর নেতৃত্বে একটি গ্রুপ রাজার বাজার ইসলামী পাঠাগার ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশের পৃথক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মু. বেলাল হোসাইন বলেন, ‘কথা কাটাকাটির জের ধরে স্থানীয় লোকজন জগন্নাথদীঘির পাড়ে বিএনপি একটি অফিস ভাঙচুর করেছে। পরে ছাত্রদলের হামলায় জামায়াত সমর্থক ইসমাইল হোসেন আহত হয়েছে। এ ছাড়া তারা কালিকাপুর ইউনিয়নের রাজার বাজার ইসলামী পাঠাগার ভাঙচুর করেছে। শান্ত চৌদ্দগ্রামকে অশান্তের পাঁয়তারা বন্ধসহ এ ঘটনায় সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।’

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শাহ আলম রাজু বলেন, ‘আমরা স্বাধীনভাবে নির্বাচনি প্রচারণা করছি। কিছু দুস্কৃতিকারী সার্বিক পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে। রোববার রাতে জামায়াতের নেতাকর্মীদের হামলায় আমাদের ৮–১০ জন আহত হয়েছে। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। এখনো পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।