মাত্র ১০ দিনের ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট মামুনুর রশিদ (৩৬)। গ্রামের বাড়িতে স্ত্রী খুশি খাতুন, একমাত্র সাত বছর বয়সি ছেলে হামিম আহমেদ এবং বাবা-মায়ের সঙ্গে তিনি সময় কাটাচ্ছিলেন। ছুটি শেষে পরিবারের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে কর্মস্থল কক্সবাজারের রামু সেনানিবাসে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে প্রাণ হারান তিনি।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বাহিমালী এলাকায় একটি ট্রাকের ধাক্কায় সার্জেন্ট মামুনুর রশিদের মৃত্যু হয়। তিনি নাটোরের লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া ইউনিয়নের বড় ময়না গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে।
পরিবারের সদস্য ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যার দিকে সেনা সার্জেন্ট মামুনুর রশিদ পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে কক্সবাজারগামী বাস ধরতে বড়াইগ্রামের বনপাড়া বাসস্ট্যান্ডের দিকে একটি ইজিবাইকে রওনা দেন।
ইজিবাইকের সামনের সিটে বাঁ পাশে বসে ছিলেন তিনি। পথে লালপুর–বনপাড়া আঞ্চলিক সড়কের বাহিমালী এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা অজ্ঞাত একটি ট্রাকের বডির সঙ্গে তার মাথায় আঘাত লাগে। এতে তিনি ইজিবাইক থেকে সড়কে পড়ে গুরুতর আহত হন।
পরবর্তীতে দ্রুত বনপাড়া পাটোয়ারী হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কিছুক্ষণ পর তার মৃত্যু হয়।
বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক সুমন চন্দ্র দাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি পুলিশ সুপারের মাধ্যমে কক্সবাজারের রামু সেনানিবাসকে অবহিত করা হয়েছে।
প্রয়োজনীয় আইনগত প্রক্রিয়া শেষে নাটোরের কাদিরাবাদ সেনানিবাসের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিজস্ব নিয়ম অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে মরদেহ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেবে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং ঘাতক ট্রাকটি শনাক্ত করে চালককে আটকের চেষ্টা চলছে।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন