বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০২৫, ১১:২৬ এএম

বিষ দিয়ে ১৮০ বাক্স মৌমাছি নিধন

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০২৫, ১১:২৬ এএম

হতাশায় ভেঙে পড়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত মৌচাষি ও উদ্যোক্তা ওসমান আলী।  ছবি- সংগৃহীত

হতাশায় ভেঙে পড়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত মৌচাষি ও উদ্যোক্তা ওসমান আলী। ছবি- সংগৃহীত

সাতক্ষীরায় বিষ প্রয়োগ করে এক মৌচাষির প্রায় ২০০ বক্স মৌমাছি নিধন করার অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (২৬ নভেম্বর) সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়িয়া এলাকার একটি আম বাগানে এ ঘটনা ঘটে। এতে কয়েক লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে চরম হতাশায় ভেঙে পড়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত মৌচাষি ও উদ্যোক্তা ওসমান আলী।

স্থানীয়রা জানায়, এ বছর ওই আম বাগানে মধু সংগ্রহের উদ্দেশ্যে ২১০টি মৌমাছির বক্স স্থাপন করেছিলেন ওসমান আলী। দুর্বৃত্তরা রাতের আঁধারে পরিকল্পিতভাবে বিষ প্রয়োগ করলে ২০০ বাক্সের মৌমাছি মারা যায়।

ক্ষতিগ্রস্ত মৌচাষি ওসমান আলী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, মৌমাছির এই বক্সগুলোই ছিল আমার জীবিকার একমাত্র পথ। হঠাৎ এভাবে বিষ দিয়ে সব শেষ করে দিলো, আমি এখন পথে বসে গেলাম। ভবিষ্যতে মধু উৎপাদন তো দূরের কথা, মূলধন হারিয়ে আমি নিঃস্ব। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা অবিলম্বে দোষীদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

তাদের মতে, প্রকৃত অপরাধীকে বিচারের আওতায় না আনা গেলে নতুন উদ্যোক্তা তৈরিতে সমস্যা হবে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম।

তিনি বলেন, এই ঘটনায় ওই মৌচাষি অপূরণীয় ক্ষতির শিকার হয়েছেন। আমরা তার পাশে আছি এবং সব মৌচাষিদের নিয়ে আলোচনা করে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে ব্যবস্থা নেব।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাহফুজুর কবির বলেন, মৌমাছি শুধু মধু দেয় না, পরিবেশ ও কৃষিতে পরাগায়নের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ জঘন্য কাজ শুধু একজন উদ্যোক্তার ক্ষতি নয়, বরং পরিবেশের জন্যও বড় হুমকি। কৃষি বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত চাষির পাশে আছে।

এলাকাবাসী ও স্থানীয় মৌচাষিরা মনে করেন, এ ধরনের শত্রুতা মেনে নেওয়া যায় না। প্রশাসনের কাছে তাদের দাবি, দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!