দিনাজপুরে জেঁকে বসেছে শীত। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি মৌসুমে অন্যতম কম। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯১ শতাংশ, ফলে শীতের অনুভূতি আরও তীব্র হয়ে ওঠে।
অন্য অঞ্চলের তাপমাত্রা ছিল- তেতুলিয়া (পঞ্চগড়) ১২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রংপুর ১৪.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সৈয়দপুর ১২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ডিমলা (নীলফামারী) ১৩.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বগুড়া ১৫.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ঈশ্বরদী (পাবনা) ১৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাজশাহী ১২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) ১২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বদলগাছি (নওগাঁ) ১২.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যশোর ১৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, চুয়াডাঙ্গা ১৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) ১৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দিনাজপুর জেলা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, “উত্তর দিক থেকে ঠান্ডা বাতাস প্রবাহ বাড়ায় দিনাজপুরসহ উত্তরাঞ্চলে শীতের তীব্রতা হঠাৎ বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী কয়েকদিন রাতের তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতে পারে।”
স্থানীয় শ্রমিক রফিকুল ইসলাম জানান, “সকালবেলা কাজে বের হতে কাঁপুনি লাগে। আগের কয়েক দিনের তুলনায় আজ শীত অনেক বেশি মনে হচ্ছে।”
রিকশাচালক মজিবর রহমান বলেন, “শীতে যাত্রী কম থাকে, ভোরে রাস্তাও ফাঁকা থাকে। এতে আয় রোজগারেও প্রভাব পড়ছে।”
দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা সতর্ক করেছেন, “শীতে সর্দি-কাশি ও ঠান্ডাজনিত রোগ বাড়তে পারে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের যত্ন নিতে হবে। বাইরে বের হলে উষ্ণ কাপড় ব্যবহার জরুরি।”


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন