বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০২৫, ১১:২২ এএম

১৯টি দেশ থেকে অভিবাসন স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্র

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০২৫, ১১:২২ এএম

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি- সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি- সংগৃহীত

বিশ্বের ১৯টি দেশ থেকে আসা অভিবাসীদের গ্রিন কার্ড, মার্কিন নাগরিকত্বের প্রক্রিয়াসহ সব ধরনের অভিবাসনসংক্রান্ত আবেদন সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এ সিদ্ধান্তের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তা–সম্পর্কিত উদ্বেগকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তালিকায় অন্তর্ভুক্ত দেশের সবই ইউরোপীয় অঞ্চলের বাইরের।

এ স্থগিতাদেশ এমন ১৯টি দেশের মানুষের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে, যাদের ওপর গত জুনে আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। ফলে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনের ওপর আরও কঠোর বিধিনিষেধ যুক্ত হলো। এটি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাজনৈতিক শিবিরের একটি অগ্রাধিকারের বিষয়।

নতুন নীতির বিবরণসংবলিত নথিতে সম্প্রতি ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের ওপর হওয়া হামলার ঘটনার উল্লেখ আছে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে এক আফগান নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গুলিতে ন্যাশনাল গার্ডের এক সদস্য নিহত ও আরেকজন গুরুতর আহত হন।

অভিবাসন সাময়িকভাবে স্থগিতের তালিকায় যে দেশগুলোর নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তার মধ্যে আছে আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন। এ দেশগুলোর ওপর গত জুন মাসে সবচেয়ে কঠোর অভিবাসন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। কয়েকটি ব্যতিক্রম ছাড়া প্রায় সম্পূর্ণভাবে এসব দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়।

১৯টি দেশের তালিকায় আরও রয়েছে বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান ও ভেনেজুয়েলা। এ দেশগুলোর ওপর গত জুনে আংশিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল।

সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ট্রাম্পকে সোমালিয়ার নাগরিকদের নিয়েও আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। তাদের ‘আবর্জনা’ বলে উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ‘আমরা তাদের আমাদের দেশে চাই না।’

গত জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে ট্রাম্প কঠোরভাবে অভিবাসন আইন প্রয়োগের বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় শহরে ফেডারেল এজেন্ট পাঠিয়েছেন এবং দেশটির সঙ্গে মেক্সিকো সীমান্তে ভিড় করা আশ্রয়প্রার্থীদের ফিরিয়ে দিয়েছেন। তার প্রশাসন প্রায়ই অভিবাসীদের বিতাড়িত করার কথা বলছে। তবে এ পর্যন্ত বৈধ অভিবাসনব্যবস্থাকে নতুনভাবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তাদের খুব একটা তৎপরতা দেখা যায়নি।

ন্যাশনাল গার্ডের ওপর হামলার পর ট্রাম্প প্রশাসন অভিবাসনের বিরুদ্ধে আরও কঠোর হওয়ার কথা বলছে। এমন পরিস্থিতির জন্য তারা সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নীতিকেও দায়ী করেছে।

যে আশ্রয়ের আবেদনগুলোর সিদ্ধান্ত ঝুলে আছে, সেগুলো এখন নতুন নীতির আওতায় স্থগিত বলে বিবেচিত হবে। নথিতে এমন কয়েকটি সাম্প্রতিক অপরাধের ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে, যা অভিবাসীরা করেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ন্যাশনাল গার্ডের ওপর হামলার ঘটনাটিও আছে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!