বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০২৫, ০৪:৫২ পিএম

ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে দিনমজুরকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ১

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০২৫, ০৪:৫২ পিএম

গ্রেপ্তার আসামি মো. লুৎফুর রহমান। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

গ্রেপ্তার আসামি মো. লুৎফুর রহমান। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এ.কে.এম সিরাজ উল্যাহ’র বাড়িতে চোর সন্দেহে পিটিয়ে এক দিনমজুরের মৃত্যুর ঘটনায় মো. লুৎফুর রহমান ওরফে লাতু (৫৯) নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নোয়াখালী পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার (এসপি) আর এম ফয়জুর রহমান। তিনি বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আসামিকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়। আদালত শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, পরে রাতে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে, গত সোমবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার যাদবপুর গ্রাম থেকে পিবিআই নোয়াখালীর একটি দল অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার মো. লুৎফুর রহমান উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের যাদবপুর গ্রামের তাজুল ইসলাম মাস্টার বাড়ির মৃত নজির আহাম্মদের ছেলে।

নিহত মো. আলাউদ্দিন (২৬) উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাটইয়া গ্রামের মহিন উদ্দিনের ছেলে। তিনি পেশায় একজন দিনমজুর ছিলেন।

পিবিআই জানায়, ২০২৪ সালের ১ মে রাত সাড়ে ৯টার দিকে নরোত্তমপুর ইউনিয়নের তৎকালীন চেয়ারম্যান এ.কে.এম সিরাজ উল্যাহ’র বাড়ির ঘাটলায় চোর সন্দেহে আলাউদ্দিনকে আটক করে তার বাড়ির কেয়ারটেকার লাতু। পরে চেয়ারম্যান সিরাজের নির্দেশে লাতুসহ এজাহারনামীয় অপর আসামিরা লোহার রড, লাঠি ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে মারধর করে আলাউদ্দিনকে গুরুতর জখম করে। 

পরবর্তীতে ‘বিচার আরও বাকি আছে’ বলে চেয়ারম্যান সিরাজের বসতবাড়ির সামনে দু’তলা আজিমা দরবার হলে তাকে আটক করে। একই দিন গভীর রাতে আলাউদ্দিন পালিয়ে গিয়ে কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেয়।

পিবিআই আরও জানায়, এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য ভিকটিমকে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনার ৫ দিন পর ৬ মে বিকেলে তিনি মারা যান। এ.কে.এম সিরাজ উল্যাহ ও তার পরিবারের সদস্যরা তৎকালীন রাজনৈতিক প্রভাব কাজে লাগিয়ে ঘটনার মীমাংসা করাসহ ন্যায়বিচারের আশ্বাস দেন। 

ওই আশ্বাসে নিহতের অসহায় বাবা–মা ও আত্মীয়স্বজনেরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ভিকটিমের লাশ বিনা ময়নাতদন্তে গ্রামের বাড়িতে এনে দাফন করেন। 

পরে ১ নম্বর আসামি বা তার স্বজনেরা প্রতিশ্রুতি মোতাবেক কোনো সমাধানের উদ্যোগ না নিলে নিহতের মায়ের আদালতে দায়েরকৃত এজাহারের প্রেক্ষিতে কবিরহাট থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়। পরবর্তীতে ১৩ জুন, মৃত্যুর ৩৬ দিন পর, ভিকটিমের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়।

নোয়াখালী পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার (এসপি) এম ফয়জুর রহমান আরও বলেন, ‘দীর্ঘ ১৭ মাসের নিবিড় তদন্তে হত্যা মামলার এ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামি ঘটনার সঙ্গে নিজের সংশ্লিষ্টতার কথা উল্লেখ করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আসামি জবানবন্দীতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে, যা নিয়ে মামলার তদন্ত ও ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্য আসামি গ্রেপ্তারে জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।’

Link copied!