রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে রবি মৌসুমের মধ্যে ইউরিয়া ও ড্যাপ সারের চরম অমিল দেখা দিয়েছে। কৃষকের কম চাহিদার কারণে ডিলারদের গুদামে ইউরিয়া সার স্তূপ হয়ে নষ্ট হচ্ছে। অন্যদিকে ড্যাপ সারের ঘাটতি বাজারে তীব্র হাহাকার সৃষ্টি করেছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, ইউরিয়ার কার্যকারিতা মাত্র ১০ দিন থাকলেও ড্যাপ প্রায় ৩ মাস জমি উর্বর রাখে। কৃষকরা মাটির উর্বরতা ধরে রাখার জন্য ড্যাপ বেশি চাচ্ছেন, তবে বরাদ্দ সীমিত হওয়ায় বাজারে দাম বেড়ে গেছে।
ডিলাররা অভিযোগ করেছেন, সেপ্টেম্বরে তারা মোট ৭০০ টন ড্যাপ বরাদ্দ চেয়েছিলেন, কিন্তু অক্টোবর মাসে মাত্র ২১২.৭৫ টন এসেছে। পাশের উপজেলা থেকে মজুত নেওয়ার অনুমতি না দেওয়ায় সারের ঘাটতি আরও প্রকট হয়েছে।
অপরদিকে বরাদ্দের অর্ধেকের বেশি ইউরিয়া গুদামে নষ্ট হচ্ছে। মেসার্স নুরুজ্জামান মিয়ার বরাদ্দের ৯৮৪ বস্তা অবিক্রীত, সপ্তবর্ণা ট্রেডার্সের ৭৬ বস্তা নষ্ট হয়েছে, যার ক্ষতিসহ মূল্য প্রায় এক লাখ টাকা।
গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রায়হানুল হায়দার বলেন, ‘সরকারি হিসাব অনুযায়ী জমির পরিমাণ ও প্রয়োজন অনুযায়ী সার বরাদ্দ দেওয়া হয়। স্থানীয় অনেক কৃষক অনুমোদিত মাত্রার বেশি ড্যাপ ব্যবহার করছেন। এ জন্য ঘাটতি দেখা দিচ্ছে।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মো. শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, জেলায় ড্যাপ সারের ঘাটতি নেই। গোয়ালন্দের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হবে। ইউরিয়া চলমান মৌসুমেই বিক্রি হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
এদিকে, মাঠে ড্যাপ সারের জন্য হাহাকার আর গুদামে নষ্ট হচ্ছে ইউরিয়া-রবি মৌসুমের মাঝপথে কৃষক ও ডিলার উভয়েই সরকারের কার্যকর পদক্ষেপের অপেক্ষায় রয়েছে।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন