বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৪, ২০২৫, ১২:২২ পিএম

মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৪, ২০২৫, ১২:২২ পিএম

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা মৎস্য দপ্তরের ‘সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ’ প্রকল্পের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল হাসান (পলাশ) এর বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা গ্রহণ, জেলেদের টাকা আত্মসাৎ, দুর্নীতি এবং অফিসের স্টাফদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয়রা জানান, মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৫ বাস্তবায়নের সময় অনিয়ম, বিধি বহির্ভূত কার্যক্রম এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া স্থানীয় দুস্কৃতিকারীদের সঙ্গে নিয়ে অভিযান পরিচালনার সময় জেলেদের মধ্যে ত্রাণ ও সুবিধার স্বার্থে অনৈতিক কার্যক্রম চালানো হয়েছে।

অভিযোগ অনুযায়ী, জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে অফিস স্টাফদের মারধর, চাকরির নামে অর্থ নেওয়া, জেলেদের বকনা বাছুর বিতরণে টাকা গ্রহণ, ট্রলারের লাইসেন্স এবং মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের সময় তেলের টাকা আত্মসাৎ ইত্যাদি ঘটেছে।

উপজেলা মৎস্য অফিসের অফিস সহকারী রত্না মন্ডল জানিয়েছেন, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণের সময় নাজমুল হাসান অফিসের টেবিল থেকে এসে তাকে মারার চেষ্টা করেছিলেন। তখনই অফিসের অন্য কর্মীরা তাকে রক্ষা করেন। রত্না মন্ডল জেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অন্যদিকে, জেলেরা অভিযোগ করেছেন, ট্রলারের লাইসেন্স এবং বকনা বাছুর দেওয়ার প্রলোভনে নাজমুল হাসান তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় ১০ হাজার থেকে ৫ লাখ টাকা নিয়েছেন। এই অর্থ সরকারি কোষাগারে না দিয়ে তিনি আত্মসাৎ করেছেন।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল হাসান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার সঙ্গে এসব অভিযোগের কোনো সম্পর্ক নেই। আমার অনুপস্থিতিতে এ অভিযোগ ভিত্তিহীন।’

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ জসিম উদ্দিন জানান, তার যোগদানের পর নাজমুল হাসানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে।

অভিযোগের মধ্যে অফিস স্টাফদের লাঞ্চিত করা, চাকরি দেওয়ার নামে অর্থ নেওয়া, জেলেদের বকনা বাছুর বিতরণের নামে অর্থ গ্রহণ, ট্রলারের লাইসেন্সের টাকা আত্মসাৎ এবং মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের তেলের টাকা আত্মসাৎ অন্তর্ভুক্ত।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ কামরুল ইসলাম জানান, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তাকে নাজমুল হাসানের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয় জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি বিষয়টি উপপ্রকল্প পরিচালক, ‘সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ’ প্রকল্প, মৎস্য অধিদপ্তর বরিশাল এবং পরিচালক, মৎস্য অধিদপ্তর বরিশালকে জানিয়েছেন।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!