বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১১, ২০২৫, ১২:২৭ পিএম

বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতা নিহত

মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১১, ২০২৫, ১২:২৭ পিএম

নিহত তাহমিদ খান। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

নিহত তাহমিদ খান। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাইয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে গাজী তাহমিদ খান (২৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাত ১২টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

নিহত তাহমিদ বারইয়ারহাট পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড পূর্ব হিঙ্গুলী এলাকার মোহাম্মদ আলমগীরের ছেলে।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। পরবর্তীতে তিনি ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশের উত্তর জেলা সদস্য হয়েছিলেন। সবশেষ তিনি ছাত্রদলের যোগ দেন। এছাড়াও তাহমিদ নিরাপদ সড়ক চাই মিরসরাই উপজেলার যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্বে ছিলেন।

স্থানীয়রা জানায়, বুধবার বিকেলে বারইয়ারহাট পৌর বাজারে একটি দোকানে পায়ের উপর পা তুলে বসে ছিলেন হিঙ্গুলী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জুবায়ের। এসময় বারইয়ারহাট পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম লিটনকে দেখে পা নামিয়ে না বসায় তিনি জুবায়েরকে লাথি দেন। এ নিয়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তারা চলে যান।

পরবর্তীতে লিটন ও জুবায়ের নিজ নিজ এলাকা জামালপুর ও হিঙ্গুলীর লোকজনের সঙ্গে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে তাহমিদ, রায়হান, মোহন দে, আবির, মোজম্মেলসহ ৮ থেকে ১০ জন আহত হন। পরে তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়।

চমেক হাসপাতালে কর্মরত জেলা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, তাহমিদকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে জোরারগঞ্জে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে রাতে চমেক হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক ২৮ নম্বর নিউরোসার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

নিহত তাহমিদের বাবা মো. আলমগীর বলেন, আমার একমাত্র ছেলেকে এভাবে মেরে ফেললো। আমার ছেলে কোনো দোষ করেনি। যদি সে দোষ করে থাকে তাহলে আমি বিচার করতাম। আমি এখন কি নিয়ে বাঁচবো? আমি ছেলে হত্যার বিচার চাই।

বারইয়ারহাট পৌরসভা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোহন দে জানান, বুধবার বিকেলে লিটন ও জুবায়েরের মধ্যে বিবাদের মিমাংসার জন্য তারা কয়েকজন ট্রাফিক মোড়ে যান। সেখানে কথোপকথনের এক পর্যায়ে লিটনের লোকজন তাদের উপর হামলা চালায়। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হন। তাহমিদ উল্লাহ তাদের এলাকার হওয়ায় তাকে লক্ষ্য করে মারাত্মকভাবে কুপিয়ে আহত করা হয়।

তবে বারইয়ারহাট পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম লিটন সংঘর্ষে তার সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে বলেন, ঘটনার পূর্বে সামান্য ঝগড়া হয়েছিল। তবে পরে কি হয়েছে সেটা আমার জানা নেই। অভ্যন্তরীণ পূর্বশত্রুতার জেরে এমন ঘটনা ঘটতে পারে।

জোরারগঞ্জ থানার ওসি কাজী নাজমুল হক বলেন, জুনিয়র-সিনিয়র দ্বন্দ্বের জেরে বিএনপির একই গ্রুপের দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে তাহমিদ নামে একজন নিহত হয়েছেন। তাঁর মরদেহ বর্তমানে চমেক হাসপাতালে রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ বাড়ি নেওয়া হবে। এ ঘটনায় এখনো থানায় কোনো মামলা দায়ের হয়নি।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!