নাটোরের বাগাতিপাড়ায় ঘটেছে এক অবিশ্বাস্য ঘটনা! কবর খুঁড়ে উদ্ধার করা হলো একটি মোবাইল ফোন- আর এতে এলাকায় দেখা দিয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য ও কৌতূহল।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে দয়ারামপুর ইউনিয়নের জয়ন্তীপুর সামাজিক কবরস্থান থেকেই মোবাইলটি উদ্ধার করেন স্থানীয় যুবক সামিউল ইসলাম সামি। আগের দিন রাতেই ফোনটি হারিয়ে যায়।
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার রাতে। জানাজা ও দাফনকাজে অংশ নিতে কবরস্থানে গিয়েছিলেন সামি। নিজের অজান্তেই ফোন নিয়ে গিয়েছিলেন কবরের কাছে। দাফন শেষে বাড়ি ফিরে দেখেন-জ্যাকেটের পকেটে নেই মোবাইল!
জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে জানাজা ও দাফনকাজে অংশ নেন সামি। এ সময় মোবাইল নিয়ে কবর পর্যন্ত যান তিনি। দাফন শেষে বাড়ি ফিরে দেখেন জ্যাকেটের পকেটে ফোনটি নেই।
সামিউল ইসলাম সামি জানান, ‘আমি একরকম নিশ্চিত ছিলাম ফোনটা কবরেই পড়ে আছে। কেউ যদি পেত, নিশ্চয়ই অফ করে দিত বা সিম খুলে ফেলত। যেহেতু ফোনে রিং হচ্ছিল তাই ধারণা করেছিলাম ফোনটা কবরস্থানেই আছে। আলহামদুল্লাহ, সকালে কবর খুঁড়ে ফোনটি পেয়েছি।’
জয়ন্তীপুর বাজার জামে মসজিদের ইমাম আব্দুর রউফ জানান, ‘ফোনটি কবরের উপরের অংশে থাকায় সহজে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। সাধারণত দাফনের সময় কবরের ওপরে খাপাচি দিয়ে মাটি দেওয়া হয়। মোবাইলটি সেই খাপের উপরের দিকে থাকার কারণে গভীরে না গিয়ে উপরের অংশে অবস্থান করেছে। এমন ঘটনা সত্যিই বিরল এবং আশ্চর্যজনক। আল্লাহর রহমতে এটি সবাইকে শিক্ষা ও স্বস্তি বয়ে এনেছে।’
স্থানীয় প্রতিবেশী মুসা আলম জানান, ‘এমন ঘটনা আমরা আগে কখনো দেখিনি। কবর থেকে মোবাইল বের হওয়া সত্যিই বিস্ময়কর। সামি খুব খুশি হয়েছে এবং আমরা সবাই অবাক।’


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন