রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কের বানেশ্বরসহ পুঠিয়া উপজেলায় প্রতিদিন শত শত মাছবাহী ট্রাক চলাচল করছে। জীবিত মাছ পরিবহনের জন্য এসব ট্রাকে পানি রাখার কারণে চলন্ত অবস্থায় সেই পানি রাস্তায় ছিটকে পড়ে সড়ককে অবিরাম ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এতে তৈরি হচ্ছে খানাখন্দ, বাড়ছে দুর্ঘটনা-ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পুঠিয়া, দুর্গাপুর, চারঘাট ও বাগমারা উপজেলায় বড় পরিসরে মাছ চাষ হয়। এখানকার উৎপাদিত মাছ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হয়। তবে ট্রাক থেকে পড়া পানির কারণে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে পিচ উঠে যাওয়ায় সড়ক এখন মারাত্মকভাবে পিচ্ছিল হয়ে গেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এসব ট্রাকের পানি ছিটকে পথচারীদের গায়ে লাগে, জামাকাপড় নষ্ট হয়, এ নিয়ে প্রায়ই কথা কাটাকাটি এমনকি হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনাও বাড়ছে।
এক স্থানীয় বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দুই টাকার মাছে খাচ্ছে কোটি টাকার সড়ক!
এ বিষয়ে পবা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) কাজী মোজাম্মেল হক বলেন, দিনে মাছবাহী ট্রাক চলাচল করতে দেওয়া হয় না, তারা রাতের বেলায় চলে। তবে বিষয়টি নিয়ে আমরা আরও পরিকল্পনা করছি।
পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিয়াকত সালমান জানান, বিভিন্ন জায়গা থেকে খবর পাওয়া যাচ্ছে-মাছবাহী গাড়ির পানিতে রাস্তা নষ্ট হচ্ছে। মাছ চাষ রক্ষায় ব্যবস্থা নিতে হবে, একই সঙ্গে সড়কও যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। বিকল্প পথ খুঁজে দেখছি।
এলাকাবাসীর দাবি, এই সমস্যা সমাধানে প্রশাসনের জরুরি পদক্ষেপ প্রয়োজন। বিশেষভাবে মাছবাহী ট্রাকে পানি পড়া বন্ধে কড়া নিয়ম
চালু, সড়কে স্পিড কন্ট্রোল ও ট্রাকের গতি সীমিত করার দাবি জানান তারা।
একইসাথে, বিকল্প পরিবহন পদ্ধতির ওপর গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। সড়কের এমন ক্ষতির পেছনে যথাযথ তদারকির অভাব ও নিয়মিত পরিবহন নিয়ন্ত্রণ না থাকাকে দায়ী করছেন সচেতন মহল। তারা দ্রুত এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান ও প্রশাসনের কঠোর নজরদারি দাবি করেছেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে এলাকাবাসী ও সরকারের কোটি টাকার অবকাঠামো বড় ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। মাছ পরিবহনের বিকল্প পদ্ধতি বা নির্দিষ্ট রুট নির্ধারণ করে দ্রুত সমাধান করা হোক।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন