বাগেরহাটের চিতলমারীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মৌখিক অনুমতিতে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে সদর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর আমির সবুর হাওলাদারের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) দুপুরে সরেজমিনে উপজেলার বারাশিয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, সবুর হাওলাদার ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করছেন এবং তা স্থানীয় বাজারে প্রতি ফুট ৮ থেকে ৯ টাকা দরে বিক্রি করছেন।
এ বিষয়ে সবুর হাওলাদার বলেন, ‘উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছ থেকে মৌখিক অনুমতি নিয়ে বালু উত্তোলন করছি। ইউএনও মহোদয় বলেছেন, যেন কারও ক্ষতি না হয়—সে অনুযায়ী কাজ করছি।’
তবে তার এই দাবিকে ভিন্ন চোখে দেখছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দা জেসিয়া বলেন, ‘গত দুই দিন ধরে সবুর হাওলাদার ড্রেজার বসিয়ে বালু তুলছেন। এতে বাড়ির পাশে ফাটল ধরেছে, মাটি সরে যাচ্ছে, ঘর ঝুঁকিতে পড়েছে।’
আরেক বাসিন্দা জানান, ‘ড্রেজার দিয়ে যেভাবে বালু তোলা হচ্ছে, তাতে জমির পাশে ধস নামছে। পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। ফসলি জমি, ঘরবাড়ি ও রাস্তা হুমকির মুখে পড়েছে।’
এদিকে সবুর হাওলাদার জেসিয়াকে বলেন, ‘৫ বছর পরেও যদি তোমার ভূমির কোনো ক্ষতি হয়, আমরা সেই ক্ষতিপূরণ দেব।’
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের নজরদারির অভাবে দীর্ঘদিন ধরে এভাবে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু তোলা হচ্ছে। তারা দ্রুত এ কার্যক্রম বন্ধ এবং বালুখেকোদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপস পাল বলেন, ‘কাউকে বালু উত্তোলনের অনুমতি দিইনি। বিষয়টি আমি দেখছি, প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’