বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলায় দুই লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় এক পল্লি চিকিৎসকের ওষুধের দোকানে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার ভান্ডারখোলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
অগ্নিকাণ্ডে দোকানের ওষুধ, আসবাবপত্র ও স্টিলের আলমারি পুড়ে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী পল্লি চিকিৎসক যুগল কৃষ্ণ বসু।
যুগল কৃষ্ণ বসু জানান, স্থানীয় শাশ্বত সম্প্রীতি যুব সংঘের সভাপতি প্রলয় মজুমদার কৃপা (৩৫) ও তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে তার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় গত ৪ অক্টোবর সন্ধ্যার আগে প্রলয় মজুমদার তাকে দোকান থেকে বের করে মিথ্যা নারীসংক্রান্ত অভিযোগ তোলে এবং দোকান ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।
তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দোকানে আগুন লাগার ঠিক আগ মুহূর্তে ওই যুবকদের দোকানের আশপাশে ঘোরাফেরা করতে দেখি। কিছুক্ষণ পরই দোকানে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তেই সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, আগুনে দোকানের সব ওষুধ, ফার্নিচার ও সরঞ্জাম সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। এতে এলাকায় আতঙ্ক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযুক্ত প্রলয় মজুমদার কৃপা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার ও সংগঠনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমরা এই ঘটনার কিছুই জানি না।
এ বিষয়ে মোল্লাহাট থানার ওসি মো. ফজলুল হক বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। চাঁদা চাওয়ার বিষয়ে অভিযোগ শোনা যায়নি, তবে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব আছে। ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।