বান্দরবানের রুমা উপজেলার মিয়ানমার সীমান্তবর্তী দুর্গম এলাকায় কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) বিভিন্ন গোপন আস্তানায় মাসব্যাপী বিশেষ অভিযান চালিয়েছে সেনাবাহিনী।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৫ জুলাই থেকে ২৬ আগস্ট পর্যন্ত রেংতেলাং পাহাড়সহ বিভিন্ন দুর্গম এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে কেএনএর একটি প্রশিক্ষণ ঘাঁটি শনাক্ত করে সেনাবাহিনী। সেখানে কাউকে পাওয়া না গেলেও প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত কাঠের রাইফেল, স্নাইপার অস্ত্রের সিলিং, সামরিক বেল্ট, কার্তুজের বেল্ট, পোশাক, বুট, কম্বল, ওয়াকিটকি চার্জার, সোলার প্যানেল, রসদসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
এ ছাড়া সেনাবাহিনী ঘাঁটির প্রশিক্ষণ মাঠ, ফায়ারিং রেঞ্জ, পরিখা ও কৌশলগত বিভিন্ন স্থাপনার নিয়ন্ত্রণ নেয়।
আইএসপিআর জানায়, পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত সব জনগোষ্ঠীর জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী নিরলসভাবে কাজ করছে। সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে ভবিষ্যতেও কঠোর অভিযান অব্যাহত থাকবে।
কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ২০২২ সালে আত্মপ্রকাশ করে। তাদের সশস্ত্র শাখা কেএনএ বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার বম অধ্যুষিত দুর্গম এলাকা এবং রাঙামাটির বিলাইছড়ির রাইংক্ষ্যং বনাঞ্চলে সক্রিয় ছিল। ওই সময় জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কীয়া নামের একটি সংগঠনকে সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
২০২২ সালের অক্টোবর থেকে যৌথ বাহিনীর অভিযানে কেএনএফের বেশ কিছু সদস্য ও উগ্রবাদীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০২৪ সালের এপ্রিলে কেএনএফ সদস্যরা রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি ও পুলিশের অস্ত্র লুটের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ফের অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী। বর্তমানে ধারাবাহিক সাঁড়াশি অভিযানে তাদের কার্যক্রম অনেকটা সীমিত হয়ে পড়েছে।