যশোরে মামা হাসানের পক্ষে আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে ভাগনে শামীম আহম্মেদকে কারাগারে যেতে হয়েছে। আদালতে হাজিরা ও কারাগারে প্রেরণের পর ফিঙারপ্রিন্ট যাচাইয়ে ধরা পড়ে বিষয়টি।
বুধবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রবেশের সময় তার নাম, পরিচয় ও জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর যাচাইয়ে দেখা যায়, আসামি হিসেবে যে পরিচয় দেওয়া হয়েছে তা ভুয়া।
ফিঙারপ্রিন্ট যাচাই করে জানা যায়, প্রকৃত ব্যক্তি হলেন মো. শামীম আহম্মেদ (২৭), যিনি যশোর সদর উপজেলার ভেকুটিয়া গ্রামের জামশেদ আলীর ছেলে।
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার আবিদ আহম্মেদ জানান, ২০২৪ সালের ৯ নভেম্বর যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় বড় ভেকুটিয়ার মন্টুর ছেলে হাসানের (৩৪) বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা হয়।
হাসানের বিরুদ্ধে নিয়মিত হাজিরা দেওয়ার কথা থাকলেও তার ভাগনে শামীম দীর্ঘদিন ধরে আদালতে গিয়ে তার পরিচয়ে হাজিরা দিয়ে আসছিলেন। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) আদালতে হাজিরা দিতে গেলে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ভারপ্রাপ্ত জেলার আরও জানান, শামীম কারাগারে পৌঁছালে নিয়মিত প্রক্রিয়ায় তার দেওয়া তথ্য যাচাই করা হয়। কথা বলার সময় তার বক্তব্য অসংলগ্ন মনে হলে কারা কর্তৃপক্ষ তার ফিঙারপ্রিন্ট পরীক্ষা করে।
জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর অনুযায়ী দেখা যায়, তার প্রকৃত নাম মো. শামীম আহম্মেদ, পিতা মো. জামশেদ আলী, মাতা মঞ্জুয়ারা বেগম এবং স্ত্রী মোবাশ্বেরা জান্নাত আয়েশা।
জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেন, মামা হাসানের পক্ষে আদালতে হাজিরা দিতে তিনি নিজেই স্বেচ্ছায় গিয়েছিলেন।
ঘটনার বিস্তারিত প্রতিবেদন আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কারাগার কর্তৃপক্ষ।