ঢাকা শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর, ২০২৫

মধ্যরাত থেকে ২২ দিন বন্ধ হচ্ছে ইলিশ ধরা, মাঠে কঠোর প্রশাসন

বরগুনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ৩, ২০২৫, ০১:৫৩ পিএম
নিষেধাজ্ঞার কারণে জেলেরা বাধ্যতামূলকভাবে ঘরে বসে থাকতে হবে। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

বরগুনা জেলার নদী-নদীতে আজ (৩ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে ২২ দিনের জন্য ইলিশ আহরণ, পরিবহন ও বাজারজাত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হচ্ছে। মা ইলিশের প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষ্যেই জেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ কঠোর নজরদারি ও যৌথ অভিযান চালানোর প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

বরগুনা জেলার ৩৫৮ কিলোমিটার দীর্ঘ নদীনালার সব এলাকায় নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। গত বছরের তুলনায় চলতি বছর ইলিশ আহরণ কমেছে।

পাথরঘাটা মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) জানিয়েছে, গত বছর ১-১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিক্রি হয়েছিল ৩৭৯ মেট্রিক টন ইলিশ, তবে এবার একই সময়ে বিক্রি হয়েছে মাত্র ৩১৬ টন। সাগরে ঘন ঘন লঘুচাপের কারণে জেলেদের জাল না ফেলে ফিরতে হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞার কারণে জেলেরা বাধ্যতামূলকভাবে ঘরে বসে থাকতে হবে, সংসার চালাতে হবে। জেলেরা আশা করছে, সরকার সময়মতো মানবিক সহায়তা, যেমন ভিজিএফ খাদ্যশস্য বিতরণ করবে। বরগুনায় ৪৮ হাজার নিবন্ধিত জেলেকে ২৫ কেজি করে চাল দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মহসিন জানান, মা ইলিশ রক্ষায় ৬টি উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় সচেতনতা বৃদ্ধির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, নৌবাহিনী, কোষ্টগার্ড, পুলিশ ও মৎস্য বিভাগ যৌথভাবে নজরদারি করবে। বরগুনা জেলায় কোনোভাবেই ইলিশ ধরা বা বাজারজাত হবে না। মা ইলিশ যাতে নির্বিঘ্নে ডিম ছাড়তে পারে, তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, আজ রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে।

নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে জেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ মাঠে নিয়মিত অবস্থান নিশ্চিত করবে। নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও পুলিশ সহায়তায় অবৈধ ট্রলিং বা রাতের আধারে মাছ ধরা প্রতিরোধে কঠোর অভিযান পরিচালিত হবে।