বরগুনা-১ (আমতলী-তালতলী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক বরগুনা জেলা চেয়ারম্যান এবং বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মতিউর রহমান তালুকদার চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেছেন। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে বরগুনা জেলা বিএনপি।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাতটায় ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মতিউর রহমানের বড় বোনের ছেলে সাংবাদিক জহুরুল ইসলাম বাদশা।
দলীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাকে ঢাকা এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। আজ সন্ধ্যায় ৭টার দিকে তিনি মারা যান। মতিউর রহমান ২ ছেলে এবং ১ কন্যা সন্তানের জনক। তার তিন সন্তানই আমেরিকায় প্রবাসী, এর মধ্যে বড় সন্তান সম্প্রতি বাংলাদেশে এসেছেন।
মতিউর রহমান তালুকদার ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টি থেকে বরগুনা-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর এক বছর পর তিনি বরগুনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হন। ২০০১ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সামান্য ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। শেখ হাসিনা বরগুনা-৩ আসন ছেড়ে দিলে তিনি বিএনপিতে যোগদান করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এরপর তিনি ২০০৮ ও ২০১৮ সালে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে পারেননি। আগামী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী থাকলেও দল তাকে মনোনয়ন দেয়নি। তবে তিনি দলের কাছে মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করেছিলেন।
বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক আহ্বায়ক এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যরা মতিউর রহমান তালুকদারের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন। শোকবার্তায় তারা জানান, মতিউর রহমান তালুকদারের মৃত্যুতে দক্ষিণাঞ্চলের একজন জাতীয়তাবাদী পরিবার একজন জনপ্রিয় নেতাকে হারিয়েছে। দলের প্রতি তার অসামান্য অবদান চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
