বরগুনার বেতাগী উপজেলার শরিষামুড়ি ইউনিয়নে ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়া ১২ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের দায়ে মহাসিন কাজী (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেছে। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ফাঁসির রায়ে দণ্ডিত আসামি মহাসিন কাজী বেতাগী উপজেলার সরিষামুড়ি গ্রামের মৃত আইউব আলীর ছেলে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১১টা ৪৫ মিনিটে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের জেলা দায়রা জজ লায়লাতুল ফেরদৌস চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালতের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে মক্তবে যাওয়ার পথে ভিকটিমকে একা পেয়ে মহাসিন কাজী তাকে প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে গলায় চাকু ধরে খালের পাশে ঝোপের মধ্যে ধর্ষণ করেন। ঘটনার পর ভিকটিম তার মাকে জানালে, মা বেতাগী থানায় মামলা দায়ের করেন।
ভিকটিমের বড়বোন নাবিলা বলেন, এরকম একটি অপকর্মের ন্যায় বিচার পেয়েছি, আমরা খুশি হয়েছি। ভিকটিমের মা মাফুজা বেগমও রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
ধর্ষক মহসিন তার মাকে দেখে বলে ওঠে তোমার জন্য আমার ফাঁসি হয়েছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তার মা বিউটি বেগম বলেন, বাদী পক্ষের লোকজন মিমাংসা করাতে টাকা-পয়সা চেয়েছিল আমি শাকপাতা বিক্রি করি খাই। তাদের চাহিদা মতন টাকা দিতে পারিনি বলে আমার ছেলের ফাঁসি হয়েছে। আমি গরীব মানুষ আপীল করবো সেই সমর্থও নেই।
নারী ও নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর রনজুয়ারা শিপু বলেন, মামলাটি একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা। একজন শিশুকে মক্তবে যাওয়ার সময় মৃত্যুদণ্ডে দন্ডিত আসামি ধরে নিয়ে ধর্ষণ করার ঘটনা একটা গর্হিত অপরাধ। আদালতে আমি অপরাধীর এই অপকর্ম রাষ্ট্রে পক্ষে প্রমাণ করাতে পেরেছি।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন