সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


আহাদ তালুকদার, আগৈলঝাড়া

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১২, ২০২৫, ০৩:২৪ পিএম

মাল্টা চাষে সফল মানিক, বছরে আয় ১০ লাখ টাকা

আহাদ তালুকদার, আগৈলঝাড়া

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১২, ২০২৫, ০৩:২৪ পিএম

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

প্রতিটি গাছের সবুজ পাতার ফাঁকে দুলছে আধা পাকা মাল্টা। মাল্টার ভারে নুয়ে পড়েছে গাছের ডালগুলো। বরিশালের আগৈলঝাড়া রাংতা গ্রিন গার্ডেন নার্সারী দেখে উৎসাহ উদ্দিপনা পেয়ে বছরের পর বছর পারিবারিক চাহিদা মিটিয়ে ফলফলাদি বিক্রি করে। আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের সফল উদ্যোক্তা মানিক সরদার, বছরে আয় করছে ১০ লাখ টাকা।

ছোটবেলা থেকেই গাছ লাগানো ও পরিচর্চা করা মানিকের পছন্দ, কিন্তু পায়নি কোনো গাইড লাইন কিংবা উৎসাহ উদ্দিপনা, তবুও থেমে থাকেনি উদ্যোক্তা মানিক। নিজের ইচ্ছে স্বাধীন কিছু কিছু গাছ কিনে লাগাতেন নিজ বাড়িতেই। একদিন নিজ উপজেলার পার্শবর্তী ইউনিয়ন রাজিহারের রাংতা গ্রিন গার্ডেন নার্সারী থেকে চারা সংগ্রহ করে সার্বিক সহযোগিতা পেয়ে নিজ বাড়ীর কয়েক একর জমিতে লাগাতে শুরু করলো দেশি প্রজাতির ফলা-ফলাদিসহ বিদেশি ৫০ প্রজাতির ফল ও ফুল।

দেশি প্রজাতির ফলাফলাদির মধ্যে সবুক মাল্টাই বছরের পর বছর বিক্রি করছে লাখ লাখ টাকা। তার পার্শবর্তী আগৈলঝাড়া-গৌরনদীর কয়েকটি বাজারেই পাইকারি ও খুচরা মুল্যে বিক্রি করছে মানিক সরদার।

মালটা চাষে স্বাবলম্বী মানিক সরদার এলাকায় একজন সফল চাষি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। সবাই তাকে আদর্শ কৃষক হিসেবে কদর করছেন। কৃষি কাজের জন্য প্রতিবেশীরা তার পরামর্শ নেন। তার সাফল্য দেখে নিজ গ্রামসহ আশ-পাশের গ্রামের অনেকেই বাড়ির আঙিনায় মালটা, পেঁপে, পেয়ারা, কলাসহ নানা জাতের ফল চাষ করে পরিবারের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় করছেন।

মাজহারুল ইসলাম রুবেল জানান, গাছ লাগানের বিকল্প কিছু নেই, গাছ মানুষের জীবনে অত্যন্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, সমাজে গাছ যত বেশি ততো মানুষের বেঁচে থাকার জীবনযুদ্ধে অপুর্ন বয়ে আনে। গাছ আমাদের জীবন, গাছে অন্য সকলের চেয়ে পরিশ্রম কম, সকালে ঘুম থেকে উঠে পানি দেয়া রোগ বিরাগ হলে কীটনাশক দেয়া, অল্প পরিশ্রম করেই সকলে বাপ্পার ফলন লাভ করতে পারে। 

আগৈলঝারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারিহা তানজিম জানান, এছাড়া বর্তমানে বেকারত্ব দুর করার জন্য নিজ উদ্যোগে উদ্যোক্তা হয়ে ভালো একটি আয়ের উৎস বের করা যায়। তরুণদের চাকরির পিছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ার বিকল্প কিছু নেই।  

এ বিষয়ে আগৈলঝাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাবু পিযুষ রায় জানান, এলাকার মাটি মাল্টা চাষের জন্য উপযোগী। তাই এই এলাকায় দিনে দিনে মাল্টা চাষ বাড়ছে। এখানে ব্যাপক পরিমাণে মাল্টা চাষ করা হলে দেশের বাইরে থেকে মাল্টা আমদানি কমে আসবে। এতে এখানকার মানুষ লাভবান হবেন।’

স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু বক্বর জানান, এখানকার মাল্টা অন্য স্থানের তুলনায় আকারে অনেক বড় এবং সুস্বাদু। যেহেতু মাল্টাগাছের জন্য জায়গা কম লাগে, তাই আম বাগানেও মাল্টা চাষ করা যায়।

আরবি/জেডআর

Link copied!